উত্তর কোরিয়ায় সিগারেট বিক্রি, যুক্তরাষ্ট্রে বিএটিকে ৬৩৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানা

লন্ডনে বিএটির সদর দপ্তর 'গ্লোব হাউজ'। ছবি: বিএটির ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত
লন্ডনে বিএটির সদর দপ্তর 'গ্লোব হাউজ'। ছবি: বিএটির ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত

বেশ কয়েক বছর ধরে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ আরোপ করে আসছে। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তামাকজাত পণ্য বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর (বিএটি) এক অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে উত্তর কোরিয়ায় সিগারেট বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করায় মার্কিন সরকার বিএটিকে ৬৩৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে। জরিমানার পরিমাণের সঙ্গে কর যোগ হবে।

আজ বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ২০০৭ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে উত্তর কোরিয়ায় বিএটির কার্যক্রম পরিচালনার কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করা হয়েছে।

বিএটির প্রধান জ্যাক বৌলস বলেন, 'আমরা এই অসদাচরণের জন্য অনুতপ্ত।'

পশ্চিমের দেশগুলোর আপত্তি সত্ত্বেও পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি অব্যাহত রাখায় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

বিএটি একইসঙ্গে যুক্তরাজ্যের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের অন্যতম।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ধূমপানে আসক্ত বলে জানা যায়। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উত্তর কোরিয়ায় তামাক রপ্তানি নিষিদ্ধের প্রস্তাব তুলে। তবে এ প্রস্তাব হালে পানি পায়নি। এতে ভেটো দেয় রাশিয়া ও চীন।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ধূমপানে আসক্ত বলে জানা যায়। ছবি: রয়টার্স
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ধূমপানে আসক্ত বলে জানা যায়। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের (ডিওজে) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ম্যাথু ওলসেন গতকাল সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, জরিমানার মাধ্যমে 'দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা তদন্ত'র অবসান হলো। তিনি এ ঘটনাকে ডিওজে'র ইতিহাসে উত্তর কোরিয়ার বিধিনিষেধ সংক্রান্ত সবচেয়ে বড় ও একক জরিমানার ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেন।

তিনি বলেন, বিএটি তাদের অঙ্গসংগঠনের মাধ্যমে 'মার্কিন বিধিনিষেধকে উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়ায় তামাকজাত পণ্য বিক্রির বিস্তৃত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিয়োজিত ছিল।'

'২০০৭ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে বিএটি উত্তর কোরিয়ায় তামাকজাত পণ্য বিক্রি করে প্রায় ৪২৮ মিলিয়ন ডলার আয় করে,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Banking sector crisis

Why is the banking sector crisis so deep-rooted?

The regime-sponsored immorality to protect or pamper the financial gangsters not only eroded the future of the banking sector, but also made the wound too difficult to recover from.

5h ago