‘গোপন নথি টয়লেটে ফ্লাশ করে দিতেন ট্রাম্প'

সদ্য প্রকাশিত ২টি ছবির একটি হোয়াইট হাউসের টয়লেট থেকে তোলা এবং আরেকটি ট্রাম্পের বিদেশ সফরের সময় তোলা। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পাম বিচে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের 'মার-আ-লাগো' বাসভবনে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার  (এফবিআই) গোয়েন্দারা। এই তল্লাশি অভিযান ট্রাম্পের দাপ্তরিক কাগজপত্র ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে জানা গেছে।

সদ্য প্রকাশিত নতুন কয়েকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ট্রাম্প সম্ভবত কিছু গুরুত্বপূর্ণ অথবা গোপন নথিপত্র টয়লেটে ফ্লাশ করে দিয়েছেন।

গতকাল সোমবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার প্রতিবেদক ম্যাগি হ্যাবারম্যান এই ছবিগুলো তার নতুন বই 'কনফিডেন্স ম্যান'-এ প্রকাশ করতে যাচ্ছেন।

ছবিগুলো এর আগে মার্কিন নিউজ ওয়েবসাইট অ্যাক্সিওসে প্রকাশিত হয়েছিল।

এর আগে সিএনএনের বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প অনেক সময় অফিসিয়াল নথিপত্র পড়ার পর ছিঁড়ে ফেলতেন। তিনি হোয়াইট হাউসে থাকার সময়ও গুরুত্বপূর্ণ নথি টয়লেটে ফেলে ফ্লাশ করে দিতেন। টয়লেটের পাইপে সেসব কাগজ আটকে গেলে তিনি মিস্ত্রি ডেকে তা ঠিক করে নিতে বলতেন।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। নিউজ ওয়েবসাইট অ্যাক্সিওসে পাঠানো বার্তায় তার মুখপাত্র বলেছেন, সেসব প্রতিবেদনে বাড়িয়ে বলা হয়েছে।

গতকাল যেসব ছবি প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলো ঠিক কার লেখা বা কাকে উদ্দেশ্য করে লেখা সে বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়। তবে কালো মার্কারে হাতের লেখা ট্রাম্পের হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ম্যাগি হ্যাবারম্যান গণমাধ্যমকে জানান, সদ্য প্রকাশিত ২টি ছবির একটি হোয়াইট হাউসের টয়লেট থেকে তোলা এবং আরেকটি বিদেশ সফরের সময় তোলা, যা হোয়াইট হাউস সূত্রে তিনি পেয়েছেন।

তিনি সিএনএনকে বলেন, 'কে জানে সেই কাগজগুলো কীসের? তিনিই (ট্রাম্প) বলতে পারেন অথবা যিনি বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো এটি একটি রেকর্ড।'

প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রাম্প কোনো রেকর্ড সংরক্ষণ করতে চাইতেন না।

 

Comments

The Daily Star  | English

Govt yet to receive any letter from Tulip: Shafiqul

Tulip has written to Yunus as she wants to meet him in London to clear up a "misunderstanding" after corruption allegations made by the interim govt led her to resign from the UK government

1h ago