ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন

এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের চতুর্থ ড্রোন হামলা

আজকের হামলা ছিল ১ সপ্তাহের ব্যবধানে রাশিয়ার ভূখণ্ডে ইউক্রেনের চতুর্থ ড্রোন হামলা।
ড্রোন হামলা প্রতিহত করার কাজে ব্যবহৃত রুশ প্যান্টসির এস-১ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ছবি: এএফপি
ড্রোন হামলা প্রতিহত করার কাজে ব্যবহৃত রুশ প্যান্টসির এস-১ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ছবি: এএফপি

১৩টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে রাশিয়া। রুশ কর্মকর্তারা জানান, ১১টি ড্রোন ক্রিমিয়ার দিকে ও ২টি মস্কোর দিকে আগানোর সময় এগুলোকে ধ্বংস করা হয়। আজকের হামলা ছিল ১ সপ্তাহের ব্যবধানে রাশিয়ার ভূখণ্ডে ইউক্রেনের চতুর্থ ড্রোন হামলা।

আজ বৃহস্পতিবার বার্তাসংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বার্তায় জানায়, 'মস্কোর দিকে ধাবিত ২টি ইউএভি (মনুষ্যবিহীন আকাশযান) ধ্বংস করা হয়েছে।'

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ১টি ড্রোন মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমে কালুগা অঞ্চলে আর অপরটি রাজধানীর সীমান্তে অবস্থিত ওদিনৎসভস্কি জেলায় ধ্বংস করা হয়।

ড্রোনগুলো আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টার দিকে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন।

ক্রিমিয়ার উপকূলে সেভাস্তোপোল শহরে ২টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করা হয় বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

'আরো ৯টি ড্রোনকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ধ্বংস করা হয় এবং এগুলো কৃষ্ণ সাগরে ভূপাতিত হয়', যোগ করে মন্ত্রণালয়।

এসব হামলায় কোনো ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

বুধবার মস্কোর উদ্দেশ্যে আগাতে থাকা ২টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংসের কথা জানিয়েছিল রাশিয়া। এর আগে কালুগায় সোমবার ১টি ও বৃহস্পতিবার ৭টি ড্রোন ধ্বংসের কথা জানায় মস্কো। 

সাম্প্রতিক মাসগুলোর আগে প্রায় দেড় বছরব্যাপী সংঘাতে মস্কোকে লক্ষ্য করে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে কোনো হামলা আসেনি।

তবে গত কয়েক সপ্তাহে আকাশপথে ও নৌপথে বিভিন্ন সময় রুশ অধিকৃত ক্রিমিয়া ও রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে ড্রোন হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত মাসে সতর্ক করেন, রাশিয়ার কাছে 'যুদ্ধ' আসছে। তিনি উল্লেখ করেন, দেশটির 'জাতীয় প্রতীক' ও 'সামরিক ঘাঁটি' কে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নির্ধারণ করা হবে।

জুনে পালটা হামলা শুরুর পর থেকে কিয়েভের পক্ষ থেকে আকাশপথে হামলা বেড়েছে। তবে ইউক্রেনের স্থলবাহিনী এখনো তেমন সাফল্য অর্জন করতে পারেনি।

Comments