রুশ বন্দরে ইউক্রেনের সামুদ্রিক ড্রোন হামলা

সামুদ্রিক ড্রোন। ছবি: টেলিগ্রাম চ্যানেল রাইবার থেকে নেওয়া
সামুদ্রিক ড্রোন। ছবি: টেলিগ্রাম চ্যানেল রাইবার থেকে নেওয়া

কৃষ্ণ সাগরের তীরে অবস্থিত রুশ বন্দর নভোরোসিস্কের কাছাকাছি জায়গায় রাতভর ড্রোন হামলা হয়েছে। 

আজ শুক্রবার যুক্তরাজ্যের সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুক্রবার প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে বন্দরে জোরালো বিস্ফোরণ দেখা যায় ও এর শব্দ শোনা যায়। নভোরোসিস্ক রাশিয়ার পণ্য রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ একটি বন্দর।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেন ২টি সামুদ্রিক ড্রোন ব্যবহার করে তাদের নৌঘাঁটির ওপর হামলা চালায়, যা প্রতিহত করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, নৌঘাঁটির প্রহরায় নিয়োজিত রুশ জাহাজগুলো আগেই ড্রোন ২টি চিহ্নিত ও ধ্বংস করতে সক্ষম হয়।

এই হামলার পর বন্দরে সাময়িকভাবে জাহাজ চলাচল স্থগিত রাখা হয়েছে।

এসব ছোট আকারের সামুদ্রিক ড্রোন পানির ওপর বা নিচ দিয়ে কাজ করতে পারে বলে জানা গেছে। 

বিবিসি জানিয়েছে, এর আগেও ইউক্রেন অন্তত ১০ বার রুশ নৌঘাঁটি সেভাস্তোপোল ও নভোরোসিস্কে ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

রুশ ও ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। জুলাইতে ক্রিমিয়ার কের্চ সেতুর ওপর পরিচালিত হামলায় একই ধরনের সামুদ্রিক ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে বলে সিএনএনকে নিশ্চিত করেছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্ররা।

নভোরোসিস্ক কৃষ্ণ সাগরের সবচেয়ে বড় বন্দরের অন্যতম। রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম বন্দরে বিস্ফোরণের ঘটনা নিশ্চিত করেছে।

ইউক্রেন এখনো এ হামলার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি।

সম্প্রতি ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির চুক্তি থেকে রাশিয়া সরে আসার পর থেকেই কৃষ্ণ সাগরে সংঘাত বেড়েছে। 

গত সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেনের ওডেসা ও চরনোমরস্ক বন্দরে হামলা চালায় রাশিয়া। এই হামলায় প্রায় ৬০ হাজার টন শস্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেন।

রাশিয়া আজ শুক্রবার আরো জানিয়েছে, তারা ক্রিমিয়ার আকাশে ১০টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Import-export activities halted at Ctg Custom House amid NBR officials' shutdown

The suspension has caused immense sufferings to service seekers, while apparel exporters fear significant financial losses due to shipment delays

19m ago