ক্রিমিয়ায় ড্রোন হামলায় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের দাবি
ইউক্রেন জানিয়েছে, ক্রিমিয়ার ঝানকোই শহরে রেলপথে পরিবহনের সময় রাশিয়ার একাধিক দূরপাল্লার কালিবার ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর নৌবহরের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানা গেছে। একই সময় সেখানে ড্রোন হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রুশ কতৃপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউক্রেনের সামরিক সংস্থা সোমবার রাতে জানায়, বেশ কয়েকটি কালিবার ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়েছে। তবে বিস্ফোরণের পেছনে ইউক্রেনের কোনো হাত আছে কী না, বা ঠিক কীভাবে এই শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ধ্বংস হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, 'সাময়িকভাবে দখলীকৃত ক্রিমিয়া অঞ্চলের উত্তরের ঝানকোই শহরে রেলপথে পরিবহনের সময় ১ বিস্ফোরণে বেশ কিছু রুশ কালিবার-কেএন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস হয়েছে'। সংস্থাটি আরও জানায়, রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরের নৌবহরের ডুবোজাহাজের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য এই ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো হচ্ছিল।
রাশিয়ার নিয়োগ দেওয়া ঝানকোই প্রশাসনের প্রধান ইহোর ইভিন জানান, শহরে ড্রোন হামলা হয়েছে এবং ৩৩ বছর বয়সী ১ ব্যক্তি ভূপাতিত ড্রোনের অংশবিশেষের আঘাতে আহত হয়েছেন।
রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ মাধ্যম তাসের বরাত দিয়ে আরও জানানো হয়, উল্লেখিত ব্যক্তির আঘাত গুরুতর নয়। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ড্রোন হামলায় ১টি বাড়ি, স্কুল ও মুদি দোকানে আগুন লেগে যায়।
ক্রিমিয়ার গভর্নর (রাশিয়ার নিয়োগ দেওয়া) সের্গেই আকসেনভ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, ঝানকোই শহরের কাছাকাছি জায়গায় বিমান বিধ্বংসী কামানের গোলা ছোড়া হয়েছে। তিনিও ১ ব্যক্তি আহত, দোকান ও বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানান।
তবে রুশ কর্মকর্তারা এ হামলায় ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। ইউক্রেনের গণমাধ্যমে জানানো হয়, বিস্ফোরণের আগে ড্রোন ইঞ্জিনের শব্দ পাওয়া গেছে।
ইউক্রেনের আগ্রাসনের শুরু থেকেই কালিবার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে রাশিয়া। পশ্চিমা গণমাধ্যমের দাবি, ২০২২ এর জুলাইতে ডুবোজাহাজ থেকে নিক্ষিপ্ত কালিবার ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের শহর ভিনিতসিয়ায় ৩ শিশুসহ ২৩ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন। রাশিয়া দাবি করে, ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু ছিল ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর কমান্ডার ও পশ্চিমা অস্ত্র সরববরাহকারীদের ১ বৈঠক।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধী আদালত (আইসিসি) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও তিনি ক্রিমিয়া ও দনেৎস্ক অঞ্চলে অঘোষিত সফর করেন। এ সফরের পরেই এলো ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের খবর।
Comments