নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় ফ্রান্সের সমর্থন

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফাইল ছবি: রয়টার্স

পশ্চিমা মিত্রদের কাতারে যোগ না দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স।

আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

গতকাল ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খান।

এই উদ্যোগের পর ফ্রান্স নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় তাদের সমর্থনের কথা জানায়।

ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, 'ইসরায়েল প্রসঙ্গে আমাদের বক্তব্য হল, আন্তর্জাতিক আদালতের বিচার-পূর্ববর্তী চেম্বার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তারা অভিযোগের স্বপক্ষে প্রধান কৌঁসুলির উপস্থাপন করা তথ্যপ্রমাণ নিরীক্ষার পর এই সিদ্ধান্ত নেবে।'

ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, 'ফ্রান্স আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, আদালতের নিরপেক্ষতা ও সব পরিস্থিতিতে দায়মুক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামকে সমর্থন জানায়।'

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফাইল ছবি: রয়টার্স

প্যারিস আরও জানায়, তারা 'বেশ কয়েক মাস ধরে' কঠোরভাবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে হুশিয়ারি দিয়ে এসেছে।

গাজা উপত্যকায় অগ্রহণযোগ্য মাত্রায় বেসামরিক মানুষের হত্যাকাণ্ড ও মানবিক ত্রাণ প্রবেশে বাধার বিষয়টি আলাদা করে উল্লেখ করে ফ্রান্স।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আইসিসির সিদ্ধান্তকে 'অবিশ্বাস্য' বলে অভিযোগ করেন।

আইসিসির সিদ্ধান্তের পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রথমবারের মতো হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে নীতিগত পার্থক্যের বিষয়টি প্রকাশ্যে এলো। ফ্রান্স হাতে গোনা কয়েকটি পশ্চিমা দেশের অন্যতম, যারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে ইচ্ছুক। এর আগে ফ্রান্স জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো দেওয়ার প্রতি নিন্দা জানায় এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চালুর আহ্বান জানায়।

Comments

The Daily Star  | English

BNP not in favour of banning any political party: Fakhrul

'Who are we to ban a political party? The people will decide,' says the BNP leader

43m ago