গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা ইসরায়েলের, বন্ধ হচ্ছে খাদ্য-জ্বালানি

হামাস ইসরায়েল যুদ্ধ
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের উড়োজাহাজ হামলা। ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘর্ষ তৃতীয় দিনে পৌঁছেছে। এই 'যুদ্ধ' পরিস্থিতিতে গাজা উপত্যকায় খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়াসহ সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।

আজ সোমবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এক ভিডিও বার্তায় বলেন, 'হামাস অধ্যুষিত গাজার সর্বাত্মক নিয়ন্ত্রণ নিতে সেখানে কোনো বিদ্যুৎ, খাবার, পানি ও গ্যাস থাকবে না—সব বন্ধ থাকবে।'

এই ঘোষণার আগে থেকেই গাজা উপত্যকায় আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে অবরোধ দিয়ে রেখেছে ইসরায়েল। ২০০৭ সাল থেকে এই অবরোধ চলছে। যার ফলে এ অঞ্চলের দুই লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎ ও পানি সংকটে ভুগছেন। এ ছাড়া, চিকিৎসা সেবা ও ওষুধেরও অপ্রতুলতা রয়েছে সেখানে।

গ্যালান্ট ইসরায়েলের এই অবরোধকে বর্ণনা করেছেন 'হিংস্র পশুর মতো' মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে।

ইসরায়েলের প্রধান সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি সাংবাদিকদের বলেছেন, তাদের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের 'নিয়ন্ত্রণ' তাদের হাতেই আছে।

তিনি জানান, সোমবার সকালে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেলেও 'এখন সেখানে কোনো যুদ্ধ চলছে না'।

'তবে এখনো সেখানে অল্প কিছু হামাস যোদ্ধা থেকে যেতে পারে', বলে যোগ করেন তিনি।

হাগারি জানান, হামাসের আর কোনো সদস্য যেন সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে ট্যাংক ও ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সীমান্তবর্তী এলাকার ২৪টির মধ্যে ১৫টি সম্প্রদায়ের সবাইকে নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাকিদেরও আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হবে।

এর আগে হামাসের মুখপাত্র আবদেল-লতিফ আল-কানুয়া এপিকে টেলিফোনে বলেছেন, তাদের 'যোদ্ধারা' গাজার বাইরে যুদ্ধ করছে এবং আরও বেশ কয়েকজন ইসরায়েলিকে 'বন্দি' করেছে। আজ সকালেও কয়েকজনকে 'বন্দি' করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, ইসরায়েলের হাতে বন্দি থাকা সব ফিলিস্তিনিকে তারা মুক্ত করতে চান।

 

Comments

The Daily Star  | English
US attack on Iran nuclear sites

Iran denounces US attack as ‘outrageous’

Iran says 'no signs of contamination' after US attacks on key nuclear sites

10h ago