প্রিগোশিনের মৃত্যু

‘প্রতিশোধ নাও অথবা রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাহারাদার কুকুর হয়ে থাকো’

রাশিয়া এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া চালু করেছে। তবে এই তদন্তের ফল যাই হোক না কেন, বিশ্লেষকদের মতে, বেশিরভাগ মানুষ ধরে নিয়েছেন পুতিনের বিরুদ্ধাচরণের শাস্তি হিসেবেই প্রিগোশিনকে এই ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে।
মস্কোতে প্রিগোশিন ও উৎকিনের উদ্দেশে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ। ছবি: রয়টার্স
মস্কোতে প্রিগোশিন ও উৎকিনের উদ্দেশে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ। ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধ করে এমন ১টি সশস্ত্র বিদ্রোহী দল ভাগনারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে নিজেদের অবস্থান বদলে তাদের নেতা ও দলটির প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভগেনি প্রিগোশিন ও কমান্ডার দিমিত্রি উৎকিনের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে।

আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

রাশিয়ান ভলান্টিয়ার কর্পস (আরভিসি) নামের সংগঠনের কমান্ডার ডেনিস কাপুসতিন এক ভিডিও বক্তব্যে বলেন, 'এই গুরুতর পরিস্থিতিতে আপনাদেরকে এখন একটি বিকল্প বেছে নিতে হবে—চাইলে আপনারা রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে থেকে আপনাদের কমান্ডারদের হত্যাকারীদের পাহারাদার কুকুর হতে পারেন অথবা তাদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে পারেন।'

রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে প্রিগোশিন, উৎকিন ও আরও ৮ ব্যক্তি একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে ছিলেন, যেটি বুধবার মস্কোর উত্তরে ভূপাতিত হয়। কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উড়োজাহাজটির ১০ যাত্রীর কেউই বেঁচে নেই।

'প্রতিশোধ নিতে আপনাদের ইউক্রেনের পক্ষে চলে আসতে হবে', যোগ করেন তিনি।

প্রিগোশিন ও ভাগনারের ভাড়াটে সেনারা রুশ সামরিক কমান্ডারদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার ২ মাস পর এই ঘটনা ঘটেছে।

রাশিয়া এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া চালু করেছে। তবে এই তদন্তের ফল যাই হোক না কেন, বিশ্লেষকদের মতে, বেশিরভাগ মানুষ ধরে নিয়েছেন পুতিনের বিরুদ্ধাচরণের শাস্তি হিসেবেই প্রিগোশিনকে এই ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে।

এর আগে রয়টার্স ২ মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার জানায়, প্রিগোশিনকে বহনকারী উড়োজাহাজটিতে ভূপৃষ্ঠ থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনে থাকতে পারে। তবে পরবর্তীতে পেন্টাগন জানায়, এ ঘটনার সমর্থনে তাদের কাছে কোনো প্রমাণ নেই।

ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ১০ নিহত ব্যক্তির পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তিনি প্রিগোশিনকে একজন 'মেধাবী ব্যবসায়ী' বলে আখ্যায়িত করেন।

প্রায় ১ বছর আগে সশস্ত্র সংগঠন আরভিসি প্রতিষ্ঠা করেন কাপুসতিন। তিনি একজন কট্টর ডানপন্থী রুশ নাগরিক। আরভিসি ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধ করে এবং ধারণা করা হয়, রুশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বেশ কয়েকটি হামলার জন্য এই সংগঠন দায়ী।

Comments

The Daily Star  | English

The psychological costs of an uprising

The systemic issues make even the admission of one’s struggles a minefield

8h ago