প্যারিসে মেয়রের বাসায় হামলা-অগ্নিসংযোগ
প্যারিসের একটি শহরতলীর মেয়র জানান, শনিবার দিবাগত রাতে (রবিবার) তার বাড়িতে হামলা হয়েছে। এই ঘটনাকে তিনি 'হত্যা প্রচেষ্টা' হিসেবে অভিহিত করেন।
আজ রোববার যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানায়।
ল'হে-লে-রোসেস নামে প্যারিসের দক্ষিণাঞ্চলের শহরতলীর মেয়র ভিনসেন্ট জঁব্রুন বলেন, 'এর আগের ৩ রাতের মতো, আজ রাত দেড়টার দিকে যখন আমি সিটি হলে ছিলাম, তখন কিছু ব্যক্তি আমার বাড়িতে দ্রুতগতিতে চলন্ত একটি গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দেয়। এরপর তারা সেখানে অগ্নিসংযোগ করে। সে সময় বাড়িতে আমার স্ত্রী ও ২ শিশু সন্তান ঘুমিয়ে ছিল।'
'নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে ও হামলাকারীদের হাত থেকে পালাতে যেয়ে আমার স্ত্রী ও এক সন্তান আহত হয়', যোগ করেন তিনি।
জঁব্রুন বলেন, 'এই আতংকজনক রাতের অভিজ্ঞতা ও আমার মনের ভাব প্রকাশ করার মতো ভাষা আমার জানা নেই।'
তিনি পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
নানতেরে মহল্লায় পুলিশ কর্মকর্তার গুলিতে ১৭ বছর বয়সী আলজেরীয় বংশোদ্ভুত নাহেল মেরজুকের মৃত্যুর পর থেকে টানা ৬ দিন ধরে ফ্রান্সের বিভিন্ন অংশে বিক্ষোভ চলছে।
শনিবার কড়া পুলিশি প্রহরায় নানতেরের এক মসজিদে নাহেলের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।
নাহেলের মৃত্যুতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে ফরাসি পুলিশের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। নাহেলের মৃত্যুর পেছনে বর্ণবাদ কোনো ভূমিকা রেখেছে কী না, সেটা নিয়েও বিশ্লেষকরা প্রশ্ন তুলছেন।
গতকাল রাতে ৭০০ জনেরও বেশি মানুষকে ফ্রান্সের বিভিন্ন অংশে আটক করা হয়।
এর আগের রাতে ১ হাজার ৩০০ মানুষকে আট করা হয়। সড়কের ওপর ২ হাজার ৫৬০টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা সম্পর্কে জানা গেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন জানান, মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে আটকদের বেশিরভাগই তরুণ। তাদের গড় বয়স ১৭।
Comments