আফ্রিকার কূটনীতিকদের ‘বানর’ বলায় রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার

কেনিয়ায় নিযুক্ত রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত দ্রাগোস তিগাউ নাইরোবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। ফাইল ছবি: এএফপি
কেনিয়ায় নিযুক্ত রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত দ্রাগোস তিগাউ নাইরোবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। ফাইল ছবি: এএফপি

কেনিয়ায় নিযুক্ত রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে রাজধানী বুখারেস্টে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। রাষ্ট্রদূত দ্রাগোস তিগাউর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আফ্রিকার কূটনীতিকদের বানরের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

গতকাল শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

সিএনএনের হাতে আসা নথিতে দেখা গেছে, আফ্রিকার কূটনীতিকরা আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রদূত দ্রাগোস তিগাউর মন্তব্যের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছেন।

গত এপ্রিলে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে জাতিসংঘের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিগাউ এই মন্তব্য করেছিলেন। আফ্রিকান কূটনীতিকদের পাশাপাশি সে বৈঠকে পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

রোমানিয়ান সরকারের কাছে আফ্রিকান কূটনীতিকদের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, সেদিন সেই সম্মেলন কক্ষের জানালায় একটি বানর এসে বসলে তিগাউ মন্তব্য করেন, 'আফ্রিকার প্রতিনিধি দল আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।'

সেই চিঠিতে কেনিয়ায় নিযুক্ত দক্ষিণ সুদানের রাষ্ট্রদূত চোল আজোং'ও বলেন, 'আফ্রিকার প্রতিনিধি দল এই অপমানজনক, বর্ণবাদ ও বিদ্বেষযুক্ত মন্তব্যের প্রতি কঠোর ভাষায় নিন্দা জানাচ্ছে।'

রাষ্ট্রদূত আজোং'ও নাইরোবিতে আফ্রিকার কূটনীতিকদের নেতৃত্ব দেন।

রোমানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ঘটনা এপ্রিলের শেষে ঘটলেও তারা ৮ জুন জানতে পেরেছে।

ঘটনাটির পর রাষ্ট্রদূত তিগাউ ৪ দিনের মধ্যে আফ্রিকার কূটনীতিকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে ২টি চিঠি পাঠান। সিএনএন চিঠিগুলোর অনুলিপি সংগ্রহ করেছে।

চিঠিতে তিগাউ দাবি করেন, 'একটি দীর্ঘ, উত্তপ্ত ও বাদানুবাদপূর্ণ বৈঠকের সময়' তিনি এই মন্তব্য করেন। 'পরিবেশ হালকা' করার জন্য তিনি এই মন্তব্য করেন বলেও দাবি করেন। পরে তিনি বক্তব্যের এ অংশ প্রত্যাহার করে নেন।

রোমানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, তারা আশা করছে এই বিচ্ছিন্ন ঘটনাটি আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে রোমানিয়ার 'অন্তরঙ্গ সম্পর্ককে' প্রভাবিত করবে না।

এতে বলা হয়, 'রোমানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে অনুতপ্ত। যারা এতে প্রভাবিত হয়েছেন, তাদের সবার কাছে আমরা ক্ষমা চাচ্ছি। পারস্পরিক সম্মানবোধের বিরুদ্ধে যায় এরকম সব ধরনের আচরণ ও ব্যবহারের প্রতি আমরা নিন্দা জানাই।'

Comments

The Daily Star  | English
Reforms vs election

Reforms vs election: A distracting debate

Those who place the election above reforms undervalue the vital need for the latter.

13h ago