ফ্লাইটে ঘুমিয়ে পড়লেন ২ পাইলট, তারপর যা ঘটল

ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ। ফাইল ছবি: উড়োজাহাজ নির্মাতা এয়ারবাসের সৌজন্যে
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ। ফাইল ছবি: উড়োজাহাজ নির্মাতা এয়ারবাসের সৌজন্যে

কেনিয়া থেকে ইথিওপিয়া আসার সময় ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের ২ বৈমানিক ঘুমিয়ে পড়েন। ফলে বিমানবন্দরের আকাশ-সীমায় পৌঁছানোর পরেও উড়োজাহাজটি বেশ কিছুক্ষণ রানওয়েতে অবতরণ করেনি। 

দ্য এভিয়েশন হেরাল্ডের বরাত দিয়ে আজ নিউজিল্যান্ডের সংবাদ মাধ্যম নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড জানিয়েছে, গত সোমবার ১৫ আগস্ট এই ঘটনা ঘটে।

আফ্রিকার সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ সংস্থার ফ্লাইট ই৩৪৩ সুদানের খার্তুম থেকে ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবা আসছিল। শিগগির বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজটি ইথিওপিয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আকাশসীমায় পৌঁছায়।

কিন্তু উড়োজাহাজটি অবতরণের জন্য কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সেসময় বৈমানিকরা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন। উড়োজাহাজটি অটোপাইলট প্রযুক্তির সহায়তায় ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৭ হাজার ফুট (১১ হাজার ২০০ মিটার) উচ্চতায় উড়তে থাকে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকবার উড়োজাহাজের ক্রুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। ফলে বিমানবন্দরে সতর্কবাণী জারি করা হয়।

যে রানওয়েতে উড়োজাহাজ অবতরণ করার কথা ছিল, সে জায়গা পেরিয়ে যাওয়ার পর একটি সতর্কতাসূচক এলার্ম বেজে ওঠে। এলার্মের শব্দে বৈমানিকদের ঘুম ভাঙে।

গন্তব্য ছাড়িয়ে বেশ খানিকটা দূরে চলে যায় উড়োজাহাজটি। ছবি: ফ্লাইটএওয়্যার
গন্তব্য ছাড়িয়ে বেশ খানিকটা দূরে চলে যায় উড়োজাহাজটি। ছবি: ফ্লাইটএওয়্যার

তড়িঘড়ি করে বৈমানিকরা উড়োজাহাজের উড্ডয়ন পথ ঠিক করেন। এরপর আরও ২৫ মিনিট পর উড়োজাহাজটি রানওয়েতে অবতরণ করে।

এই অবিশ্বাস্য ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি এবং উড়োজাহাজটিও নিরাপদে অবতরণ করে।

পরবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে উড়োজাহাজটি প্রায় আড়াই ঘণ্টা রানওয়েতে ছিল।

উড্ডয়ন বিশ্লেষক অ্যালেক্স মাচেরাস এক টুইটার বার্তায় এ ঘটনাকে 'উদ্বেগজনক' বলে আখ্যায়িত করেন।

তিনি লেখেন, 'ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ ইটি ৩৪৩ ফ্লাইটটি আদ্দিস আবাবায় পৌঁছানোর সময় ৩৭ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ছিল।'

'কেনো এটি অবতরণ করতে শুরু করেনি? কারণ উভয় বৈমানিক ঘুমে ছিলেন', যোগ করেন অ্যালেক্স।

তিনি বৈমানিকদের ক্লান্তিজনিত অবসাদকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করেন।

'বৈমানিকদের অবসাদের বিষয়টি নতুন কিছু নয়। এটি আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির মধ্যে অন্যতম', যোগ করেন তিনি। 

Comments

The Daily Star  | English

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

33m ago