বেথেলহামে উৎসবহীন বড়দিন

গাজায় লড়াইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জেরুসালেম থেকে বেথলেহেম পর্যন্ত শোভাযাত্রা ছিল সংক্ষিপ্ত। ছবি: ডয়চে ভেলে/মাহমুদ লিয়ান/এপি/ডিপিএ/পিকচার অ্যালায়েন্স
গাজায় লড়াইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জেরুসালেম থেকে বেথলেহেম পর্যন্ত শোভাযাত্রা ছিল সংক্ষিপ্ত। ছবি: ডয়চে ভেলে/মাহমুদ লিয়ান/এপি/ডিপিএ/পিকচার অ্যালায়েন্স

আগেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল, যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বেথলেহামে বড়দিনের কোনো সাজসজ্জা থাকবে না। সেভাবে উৎসব হবে না বেথলেহামে।

রোববার অধিকৃত পশ্চিম তীরে বড়দিনের শোভাযাত্রা হলো, তবে খুবই সংক্ষিপ্তভাবে। কার্ডিনাল পিজাবেলার সঙ্গে ছিলেন অল্প কিছু খ্রিষ্ট সন্ন্যাসী ও ভক্ত। পিজাবেলা হলেন ইসরায়েল, জর্ডন, সাইপ্রাস ও ফিলিস্তিন অঞ্চলে ক্যাথলিক চার্চের সর্বোচ্চ প্রতিনিধি।

সাধারণত, বড়দিনের সময় বেথলেহামে হাজারো পর্যটক থাকেন। এ বছর কোনো পর্যটকই প্রায় নেই।

পশ্চিম তীরের এই শহরের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের ৭০ শতাংশই আসে পর্যটন থেকে। আর বড়দিনের সময় সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসেন। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৭০টি হোটেল বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে হাজারো মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন।

হামাসের আক্রমণের পর ইসরায়েল এখানে ফিলিস্তিনিদের ওয়ার্ক পারমিটও বাতিল করেছে।

উৎসবহীন বড়দিন

গত নভেম্বরে জেরুজালেমের চার্চের প্রধানরা ঠিক করেছিলেন, বেথেলহামের পবিত্র ভূমিতে বড়দিনে কোনো উৎসব করা হবে না। কোনো সাজসজ্জাও থাকবে না। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে তারা এই সিদ্ধান্ত নেন।

বার্তাসংস্থা এপিকে এক খ্রিস্ট সন্ন্যাসী জানিয়েছেন, এই বছর ক্রিসমাস ট্রি ছিল না, কোনো আলোকসজ্জা ছিল না।

বেথলেহামের ঐতিহাসিক চার্চে মধ্যরাত্রের প্রার্থনা অবশ্য যথারীতি হয়েছে। কিন্তু সেই চার্চের বাইরে কোনো ক্রিসমাস ট্রি ছিল না। আলোকসজ্জাও ছিল না।

 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh exports to EU

RMG exports to EU rise by 2.99% in Jan-Nov

In the 11 months, Bangladesh shipped garments worth $18.15 billion, second highest after China

1h ago