আজকের দিনটি গৃহিণীদের
পরিবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষটি হলেন গৃহিণী। তিনি বাড়িতে থাকেন, বাড়ির সব কাজ করেন। তার কাজ যেন ২৪ ঘণ্টা। ঘর গোছানো থেকে শুরু করে সংসারের যাবতীয় কাজ করেন এই মানুষটি।
কিন্তু, এই মানুষগুলো অনেক সময় অবহেলিত থেকে যান। তারা নিজের কাজ অনুযায়ী প্রশংসা পান না, মূল্যায়ন পান না। আমাদের অনেকের ধারণা, তারা বাসাতে থাকেন, তাদের কাজগুলো খুবই সহজ। কিন্তু, বিষয়টি মোটেও তা নয়। তাদের কাজগুলো যথেষ্ট কষ্টের, পরিশ্রমের। তাই আমাদের চিরাচরিত এসব ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। একজন গৃহিণীকে যথাযথ সম্মান দিতে হবে। সেটা শুরু হতে পারে আজ থেকেই। কারণ, আজ গৃহিণী দিবস।
পুরো বাড়িকে নিয়ন্ত্রণে রাখা মোটেও সহজ কাজ নয়। এটা অনেক কঠিন কাজ। অথচ সেই কঠিন কাজটি হাসি মুখে করেন একজন গৃহিণী। এক ছাদের নিচে আগলে রাখেন পরিবারের সবাইকে। সুতরাং তাকে সম্মান করতে হবে, প্রশংসা করতে হবে। এই মূল্যায়নটুকুর তিনি দাবিদার। যাইহোক, মানুষ ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করেছেন- কেউ সারা দিন বাড়িতে থাকে এর অর্থ এই নয়, দুপুর পর্যন্ত ঘুমায় এবং দিনের বাকি অর্ধেক সময় সাজগোজ করে ব্যয় করে।
যদিও গৃহিণী দিবস কীভাবে এলো তার সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে, প্রতি বছরের ৩ নভেম্বর গৃহিণী দিবস উদযাপন করা হয়। অনেকে মনে করেন, কোনো একজন গৃহিণী হয়তো এই দিবস চালু করেছিলেন।
এই দিনটির উদযাপন স্বাভাবিকভাবেই গৃহিণী বা গৃহকর্ত্রীকে ঘিরে আবর্তিত হবে। আজ থেকে আপনি তার পাশে দাঁড়ান। তার জন্য রান্না করুন। অকারণে তার দোষ ধরবেন না। তার কিছু কাজ ভাগ করে নিতে পারেন। মনে রাখতে হবে, আমাদের প্রত্যেকেরই বিরতি প্রয়োজন। তাই তাকেও একটু বিরতি দিন।
আর আপনি যদি গৃহিণী হয়ে থাকেন। তাহলে আপনিও আজকের দিনটি নিজের মতো করে উদযাপন করুন। কোথাও ঘুরতে যান, বই পড়ুন, কফির কাপে চুমুক দিন। অথবা প্রিয় সিনেমা দেখে কাটিয়ে দিতে পারেন কিছুটা সময়।
Comments