চট্টগ্রামে পুলিশের অভিযানে গুলি করে পালালেন ‘ছোট সাজ্জাদ’

ছোট সাজ্জাদ

পুলিশের অভিযানের সময় গুলি ছুড়ে পালিয়েছেন চট্টগ্রামের অন্যতম শীর্ষ অপরাধী হিসেবে পরিচিত সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ। বন্দরনগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় এই ঘটনায় দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, আজ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে অক্সিজেন মোড়ের জালালাবাদ পেট্রোল পাম্পের পেছনে সাততলা ভবনের পঞ্চম তলায় এই ঘটনা ঘটে৷ গোলাগুলির এক পর্যায়ে পাশের ভবনের ছাদে লাফ দিয়ে পালিয়ে যান সাজ্জাদ।

গুলিবিদ্ধ দুইজন হলেন কাজল কান্তি দে (৩৬) ও মো. জাবেদ (৩৪)। তবে আহতরা পুলিশের সদস্য নন। কাজল কান্তি দে অক্সিজেন মোড়ের সিটি ব্যাংকের এটিএম বুথের সিকিউরিটি গার্ড।

সিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) রইস উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারে গেলে সে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে।'

তিনি বলেন, 'পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাসার ভেতর থেকেই গুলি ছোড়েন সাজ্জাদ। যারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তারা সবাই সাধারণ মানুষ। পরে সে বাড়ির ছাদে উঠে পাশের আরেকটি ভবনে যায়। সেখান থেকে নামার সময় ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড কাজলকে গুলি করে পালিয়ে যায় সাজ্জাদ।'

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি নিজেকে সাজ্জাদের স্ত্রী বলে পরিচয় দিলেও পুলিশ তা যাচাই করছে।

অভিযানে অংশ নেওয়া এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, 'আচমকা গোলাগুলির ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের বিশেষায়িত টিম সোয়াটকে খবর দেওয়া হয়। ভোর ৫টার পর সোয়াট সদস্যরা সেখানে পৌঁছানোর আগেই সাজ্জাদ পালিয়ে যান।'

কে এই 'ছোট সাজ্জাদ'

বিদেশে পলাতক জামায়াত-শিবির ক্যাডার হিসেবে পরিচিত আরেক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেনের সহযোগী হিসেবে এই সাজ্জাদ অপরাধজগতে পা রাখেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির ১০টি মামলা রয়েছে।

সব শেষে গত ২১ অক্টোবর চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানা এলাকার শমশের পাড়ায় প্রকাশ্যে গুলি করে আফতাব উদ্দিন তাহসিন (২৬) নামে এক যুবককে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে ছোট সাজ্জাদের বিরুদ্ধে৷ মাইক্রোবাসে চড়ে এসে প্রকাশ্যে গুলি করে পালিয়ে যান তিনি।

ওই হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পুলিশ তাকে খুঁজছিল। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন অক্সিজেন অনন্যা, শীতলঝর্ণা, কালারপুল, হাটহাজারীর কুয়াইশ, নগরের চান্দগাঁও হাজীরপুল ও পাঁচলাইশ এলাকায় ১৫ থেকে ২০ জনের বাহিনী নিয়ে দাপিয়ে বেড়ান সাজ্জাদ। চাঁদাবাজি, জমি দখল থেকে শুরু করে সেখানকার পুরো অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি।

Comments