ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ঘুষ নিচ্ছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের হিসাবরক্ষক
ঠিকাদারদের কাছ থেকে নিজের অফিসে বসে ঘুষ নেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) হিসাবরক্ষক মাসুদুল ইসলাম। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও প্রতিদিন ঘুষ নেওয়া অব্যাহত রেখেছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। একটি ভিডিওতে তার ঘুষ লেনদেনের পুরো চিত্র উঠে এসেছে। গত রোববার এই ভিডিও ধারণ করা হয়।
এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে।
ঠিকাদারদের অভিযোগ, ঠিকাদারী কাজের পর বিল নিতে গেলেই চসিক হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ দিতে হয়। ঘুষ ছাড়া কোনো চেক ছাড় দেন না হিসাবরক্ষক মাসুদুল ইসলাম। বিলের পরিমাণ দেখে সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত নগদ নেন তিনি। ঘুষ না দিলে বিল পান না ঠিকাদাররা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ভুক্তভোগী ঠিকাদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিলের বিপরীতে ইস্যুকৃত চেক ডেলিভারির সময় ঠিকাদারদের কাছ থেকে প্রকাশ্যে ঘুষ নেন মাসুদুল ইসলাম। বিলের চেক ছোট হলে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা দিতে হয়। টাকার অংক বড় হলে পাঁচ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয় তাকে।'
তিনি আরও বলেন, 'ওই হিসাবরক্ষকের কাজ হলো শুধু ঠিকাদারদের চেক ডেলিভারি দেওয়া আর ঘুষ আদায় করা।'
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন ঠিকাদার চেক নিতে হিসাবরক্ষক মাসুদুল ইসলামের অফিস কক্ষে আসেন। তিনি প্রতি চেকের বিপরীতে প্রকাশ্যে ঘুষ নিচ্ছেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, একজন কাছ থেকে ৫০০ টাকা, অন্যজনের কাছ থেকে এক হাজার টাকা নিচ্ছেন মাসুদুল ইসলাম। আবার ঘুষের টাকার অংক পছন্দ মতো না হওয়ায় একজনকে গালিও দিচ্ছেন তিনি।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য মাসুদুল ইসলামের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও প্রসঙ্গে জানতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ভিডিওটি আমাদেরও দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আজ সোমবার সরকারি ছুটি থাকায় এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি। আগামী মঙ্গলবার অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Comments