ঢাবিতে ২ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ, টিয়ারশেল-সাউন্ড গ্রেনেডে আহত অন্তত ১৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে পুলিশ। এতে অন্তত দুই শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ ও পাঁচ সাংবাদিকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার বিকেলে ঢাবির ভিসি চত্বর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক জানান, পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করায় আহত হয়ে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসেছেন অন্তত পাঁচ সাংবাদিক। একইসঙ্গে গুলিবিদ্ধ হয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী।
ওই দুই শিক্ষার্থী হলেন আফসানা জুঁই ও আব্দুল হান্নান মাসুদ। তারা জানান, গায়েবানা জানাজা শেষে তারা শান্তিপূর্ণভাবে কফিন মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তাদের লক্ষ্য করে দুইদিক থেকে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।
আহত সাংবাদিকদের মধ্যে আছেন দৈনিক কালবেলার নিজস্ব প্রতিবেদক জনি রায়হান ও আকরাম হোসেন, দৈনিক আলোকিত প্রতিদিনের বিশেষ প্রতিনিধি ইমরান হোসেন ও নিউজ প্রভাতের নিজস্ব প্রতিবেদক হুমায়ুন আহমেদ।
এ ছাড়া, একই এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের মারধরে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সময় টিভির চিত্রগ্রাহক রতন।
ওই সময় নীলক্ষেত এলাকায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের মারধরের শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক পুলিশ সদস্য।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া ডেইলি স্টারকে জানান, বর্তমানে ছয় সাংবাদিক ও দুই শিক্ষার্থী ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর সকাল থেকে অন্তত ৩০ জন ঢামেকে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।
ঢামেক সূত্র জানিয়েছে, আহত ঢাবির দুই শিক্ষার্থীর পায়ে ছররা গুলির অসংখ্য চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে আসা আহতের সংখ্যাও বাড়ছে।
এদিকে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ার পর ঢাবি শিক্ষার্থীদের অনেকে তাদের হলে ফিরে যান এবং পরবর্তীতে তাদের ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে যেতে দেখা যায় বলে জানিয়েছেন ডেইলি স্টারের সংবাদদাতা।
এর আগে, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথম দফায় ও দ্বিতীয় দফায় ভিসি চত্বরের সামনে গায়েবানা জানাজা পড়েন। এরপর তারা কফিন মিছিল নিয়ে ভিসি চত্বর থেকে টিএসসির দিকে রওনা দিলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।
Comments