আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধের ডাক হাসনাতের

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মিন্টো রোডের মুখে নির্মিত মঞ্চ থেকে আজ শুক্রবার বিকেলে তিনি এ ঘোষণা দেন।
হাসনাত বলেন, 'অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের কথা পৌঁছায় না। তাদের কাছে শহীদের আওয়াজ পৌঁছায় না, আহতদের আর্তনাদ পৌঁছায় না।'
'আমরা এখান থেকে বের হয়ে শাহবাগ অবরোধ করব। যতক্ষণ না পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে, ততক্ষণ আমরা অবরোধ করে রাখব,' বলেন তিনি।
এ সময় হাসনাতের সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আরেক মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
হাসনাতের এ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
হাসনাত আরও বলেন, 'আজকের আমরা সবাই একসাথে জড়ো হয়েছি এটা আমাদের জন্য আনন্দের না, বরং এটা আমাদের জন্য লজ্জার। একটা গণহত্যার আট মাস পরে আমাদেরকে আবার একসাথে হয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বুঝাতে হচ্ছে কেন এই আওয়ামী লীগ নামের রাজনৈতিক দলটাকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা শুনতে পেয়েছি প্রধান উপদেষ্টা নাকি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসার চেষ্টা করছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে, তাদের সাথে ঐকমত্যে পৌঁছে নাকি সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই আলোচনা করতে হবে মুগ্ধর মায়ের সঙ্গে, আলোচনা করতে হবে ওয়াসিমের মায়ের সঙ্গে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা দেশের হিস্যা জনগণের কাছে তুলে দিতে চাই। আমরা অন্তবর্তী সরকারকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ নামক ভাইরাস নিয়ে এই বাংলাদেশে আমরা একদিনও থাকতে চাই না। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে যদি প্রয়োজন হয় এক বছরও প্রয়োজন হয় তাহলে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আমরা এই ময়দান ছাড়ব না।'
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে সড়কের ওপর তৈরি করা এ মঞ্চ ঘিরে আজ শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিকেন হাসনাত।
সকাল থেকেই সেখানে ছাত্র-জনতার একটি অংশ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান নেওয়া শুরু করেন।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি তুলে গতকাল রাত ১০টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ও প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।
রাতে ওই কর্মসূচি থেকে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছিলেন, 'অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা ছিল, এ সরকারের প্রথম এবং প্রধান সংস্কার হবে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করবে।'
তিনি আরও বলেন, 'যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকার দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যতক্ষণ না পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিবন্ধন বাতিল করে নিষিদ্ধ করা না হবে এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় সুস্পষ্ট রোডম্যাপ আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এই রাজপথ ছাড়ব না।'
Comments