সীমান্তে শূন্যরেখায় ভারতকে বেড়া তৈরির অনুমতি দিয়েছিল শেখ হাসিনা: রিজভী

রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

সীমান্তের শূন্যরেখায় ভারতকে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করতে অনুমতি দেওয়ার মাধ্যমে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সীমান্তের এমন ১৬০টি জায়গায় ভারত বেড়া দিয়েছে।

সোমবার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলে এই অভিযোগ করেন রিজভী। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় এই মাহফিল আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী রিকশা ভ্যান অটো-রিকশা চালক শ্রমিক দল।

রিজভী বলেন, 'শেখ হাসিনা ভারতকে যে সুবিধা দিয়েছে সেই কারণে আলাপ-আলোচনা ছাড়াই ভারত জোর করে কাঁটাতারের বেড়া লাগিয়েছে। শুধুমাত্র শেখ হাসিনা সুবিধা দেওয়ার কারণে আমাদের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে ভারত ১৬০ জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের সীমান্তে ৮৫৭ কিলোমিটার বেড়া দেওয়া বাকি রেখেছে ভারত। কিন্তু বেড়া দেওয়ার জন্য ভারত এখন আন্তর্জাতিক নিয়ম, দুই দেশের মধ্যে হওয়া চুক্তি এবং আগে যে আলাপ-আলোচনা হয়েছে সেটা মানছে না। শূন্য রেখা থেকে ১৫০ গজের মধ্যে কোনো উন্নয়ন কাজ হবে না। হতে গেলেও দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। সেটাও না মেনে তারা লারমনিরহাটসহ বিভিন্ন জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছে।'

শূন্যরেখায় ভারতের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা রুখে দিতে বিজিবির সঙ্গে স্থানীয়দের যোগ দেওয়াকে দৃষ্টান্তমূলক বর্ণনা করে রিজভী বলেন, হাসিনা তার আমলে এটা করতে দেয়নি। তিনি ভারতের সেবাদাস হয়ে কাজ করেছেন।'

রিজভীর ভাষ্য, 'উনি একটা কথা বলতেন, নিজের দলের লোকদেরও বলেছেন যে, তার দলের লোকদের মধ্যে অনেককে কেনা যায় কিন্তু শেখ হাসিনাকে কেনা যায় না। আরে, আপনাকে তো সবার আগে কেনা যায়… ভারত আপনাকে সবার আগে কিনেছে… কেনার কারণে আপনার নিজের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং গৌরবকে আপনি পদদলিত করে ভারতকে অসম কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন।'

আলমগীর হোসেন মন্টুর সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাহবুবুর রহমান সমুন, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারিসহ অটো, রিকশা, ভ্যান শ্রমিকরা বক্তব্য রাখেন।

Comments

The Daily Star  | English

Polls could be held by year end ‘at the earliest’: Yunus

Chief Adviser Muhammad Yunus has stated that the next general election in Bangladesh could be held at the end of this year at the earliest

2h ago