রাষ্ট্র মেরামতে অন্তবর্তী সরকারের কত মাস লাগবে, জানার অধিকার আছে: তারেক রহমান
রাষ্ট্র মেরামতের জন্য অন্তবর্তী সরকারের আর কত মাস বা কত সময় প্রয়োজন, জনগণের তা জানার অধিকার আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ রোববার বিএনপি আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় ভারচুয়ালি যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, 'অন্তবর্তী সরকারের আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা, রোডম্যাপ ঘোষণার কথা শুনলেই যদি উপদেষ্টাদের চেহারায় অস্বস্তির ছাপ ফুটে ওঠে, সেটি হবে অবশ্যই হবে গণ-আকাঙ্ক্ষাবিরোধী।'
'সরকার জনগণের সামনে তাদের আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা, রোডম্যাপ ঘোষণা করলে, এটি একদিকে জনগণের কাছে সরকারের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতাকে নিশ্চিত করবে,' বলেন তিনি।
বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'শত অস্পষ্টতা কাটিয়ে অচিরেই নির্বাচনী রোডম্যাপে যাত্রা শুরু করবে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। সেই যাত্রায় আবারও বলছি, আপনাদের বিশ্বস্ত সঙ্গী হচ্ছে দেশের গণতন্ত্রকামী স্বাধীনতা প্রিয় জনগণ। আপনারা জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকে সঙ্গে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন।'
তারেক বলেন, 'রাষ্ট্র ও জনগণকে স্বনির্ভর ও শক্তিশালী করতে হলে রাষ্ট্র ও রাজনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের লালন, বিকাশ ও চর্চা অত্যন্ত জরুরি। আমরা মনে করি, রাষ্ট্র ও সমাজে গণতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চা অন্যতম প্রাতিষ্ঠানিক কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত জাতীয় সংসদ।'
'জবাবদিহিমূলক সরকার ও সংসদ যথাযথভাবে কার্যকর থাকলে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত থাকে। আমাদের মনে রাখা দরকার জনগণ শক্তিশালী না থাকলে জাতীয় ঐক্যও শক্তিশালী হয় না,' যোগ করেন তিনি।
তারেক রহমান আরও বলেন, 'একটি দেশের জন্য ৫৪ বছর সময় কম নয়। এই কথাটি গতকাল একজন প্রতিবন্ধী ভাই কিছু কথা বলতে গিয়ে বলেছেন। লাখো মানুষের রক্তের ওপর দিয়ে দেশের জনগণ আজ অভূতপূর্বে ঐক্যের মোহনায় এসে দাঁড়িয়েছে। এই ঐক্য কাজে লাগিয়ে একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।'
'একটি বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ইতোমধ্যে ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্যই হচ্ছে শিশু-নারী-বৃদ্ধ অথবা দলমত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে রাষ্ট্রকে অবশ্যই প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব নিতে হবে,' বলেন তিনি।
Comments