আয়কর ফাঁকি ও চাঁদা দাবির মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন তারেক রহমান

তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে করা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম এ আদেশ দেন।

আদেশে বিচারক বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নির্দিষ্ট অভিযোগে মামলা করলেও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এছাড়া, অপর একটি আদালতে আবদুল মোনেম লিমিটেডের কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগে করা মামলা থেকেও অব্যাহতি পেয়েছেন তারেক রহমান।

কর ফাঁকি মামলা

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ২৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা কর ফাঁকির অভিযোগে ২০০৮ সালে মামলা করেছিল এনবিআর।

এনবিআরের তৎকালীন উপ-কর কমিশনার সামিয়া আক্তার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ মামলা করেছিলেন।

অভিযোগে বলা হয়, তারেক ১০ লাখ ৭৪৭ হাজার ১২৫ টাকার সম্পদের তথ্য এনবিআরের কাছে গোপন করেছেন। তিনি তার প্রকৃত আয় ও ব্যয় সম্পর্কে আয়কর বিভাগকে বারবার মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।

এছাড়া, আয়কর রিটার্নে তারেক তার মেয়ে জাইমা রহমানের নামে বসুন্ধরা আবাসিক প্রকল্পে ১০ কাঠা জমি রেজিস্ট্রির খরচ ৪ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা দেখাননি।

এছাড়া, ২০০৩ থেকে ২০০৬ অর্থবছর পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রাখা ৭৭ লাখ ৮ হাজার ৫৬ টাকার কথা তারেক গোপন রাখেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

আয়কর রিটার্নে তারেক রহমান বগুড়ার শৈলকান্দায় তার দুই একর কৃষিজমি এবং তার মেয়ে জাইমার নামে ঢাকা ব্যাংক বনানী শাখায় এফডিআর হিসেবে জমা থাকা ২০ লাখ টাকার তথ্য দেননি বলেও অভিযোগ করেন সামিয়া।

অভিযোগ জমা দেওয়ার পর শুনানি শেষে বিচারক অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করে অভিযোগ গ্রহণ করেন। বিচারক তখন আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর অধীনে তারেকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

চাঁদা দাবির মামলা

আব্দুল মোমেন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খায়রুল বাশার ২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল মামুন, তারেকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা করেন।

আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেটোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সানাউল্লাহর আদালত তারেক রহমানকে এ মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন।

একইসঙ্গে তারেকের ঘনিষ্ঠ গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ আরও ৭ জনকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত সরকারের আমলে আবদুল মোনেম লিমিটেডের কাছ থেকে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে এ মামলা করা হয়েছিল।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে ডিবির পরিদর্শক মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, তারেকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আনা চাঁদাবাজির অভিযোগের কোনো সত্যতা তিনি পাননি। তাই মামলার অভিযোগ থেকে তাদের অব্যাহতি দিতে আদালতের কাছে আবেদন করেন তিনি।

এ নিয়ে আওয়ামী লীগ আমলে করা রাষ্ট্রদ্রোহের দুটি মামলাসহ মোট ৯টি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তারেক রহমান।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

6h ago