‘আপনার জিহ্বা থাকবে না, ভালো হয়ে যান’ সংসদ সদস্যকে আ. লীগ নেতা

গতকাল শনিবার এক সভায় তিনি এই কথা বলেন
আকরাম হোসেন কিসলু। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয় ও সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে।

সাবেক সংসদ সদস্যের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আকরাম হোসেন কিসলু বর্তমান সংসদ সদস্যকে 'জিহ্বা থাকবে না' বলে মন্তব্য করেছেন।

গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার নলুয়া বাজার সংলগ্ন যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ হুমকি দেন। তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এ কে এম আতিকুর রহমানসহ এক ইউপি সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের বিচার দাবিতে ইউপি সদস্যরা এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।

সভায় বর্তমান সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয়কে উদ্দেশ করে আকরাম হোসেন কিসলু বলেন, 'আপনাকে আমি সাবধান করে দিতে চাই। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের (জোয়াহেরুল ইসলাম) বিরুদ্ধে যদি আবার কোনো দিন কোনো কথা বলেন, আপনার জিহ্বা থাকবে না। সকল মানুষকে নিয়েই আপনার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আপনি ভালো হয়ে যান।'

এসময় অনুপম শাহজাহান জয় সুসংগঠিত আওয়ামী লীগকে দ্বিখণ্ডিত করার পাঁয়তারা করছেন অভিযোগ করে তাকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন কিসলু।

যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বশির আহমেদের সভাপতিত্বে এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্যের ছবি ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে গত ২৫ এপ্রিল যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত মানববন্ধনে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামের ভাই ও যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়।

এরপর মে দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইল শহরে আয়োজিত এক জনসভায় সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয় সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরকে সখীপুরে ঢুকতে দেয়া হবে না বলে বক্তব্য রাখেন।

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে বিরোধ ও বিভক্তি দীর্ঘদিনের। গত সংসদ নির্বাচনের পর এই বিরোধ ও বিভক্তি চরম আকার নিয়েছে।  

আকরাম হোসেন কিসলুর মন্তব্য সম্পর্কে বর্তমান সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয়ের বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যক্তিগত সেক্রেটারি ফোন কল ধরলেও সংসদ সদস্য পরে আর কথা বলেননি।

Comments