দেশি-বিদেশি চক্র নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত করছে: কাদের

‘বিএনপির নেতারা কেউ বলতে পারবে না, আওয়ামী লীগ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করেছে। হত্যা রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না, সেটা বাংলাদেশের রাজনীতি আওয়ামী লীগ বারবার প্রমাণ করেছে।’
দেশি-বিদেশি চক্র নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত করছে: কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

দেশি-বিদেশি চক্র নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ মঙ্গলবার সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত যৌথ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

কাদের বলেন, 'শুধু দেশে নয়, বাইরেও বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার আছে, ষড়যন্ত্র আছে এবং নির্বাচিত সরকারকে অবৈধভাবে হটানোর চক্রান্ত দীর্ঘ দিন ধরে আমরা লক্ষ করছি। আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ থাকার পরও, ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক থাকার পরও অবিরাম আমাদের নির্বাচনের বিরুদ্ধে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি একটি চক্র অপপ্রচার-মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে।

'আমরা বলতে চাই, ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করবেন—এটা আমাদের আহ্বান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস,' বলেন তিনি।

কাদের বলেন, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। দেশবিরোধী অপশক্তি বঙ্গবন্ধু পরিবারকে হত্যা করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে এবং সেটাই আমাদের গণতন্ত্রের ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত। সেই ষড়যন্ত্রে খন্দকার মোস্তাকের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল এবং এই ষড়যন্ত্রে পুরোপুরিভাবে নেতৃত্বে দিয়েছে, খুনিদের নিরাপদে বিদেশ যেতে দিয়েছে, তাদের দুঃসাহস দিয়েছে। তা না হলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মতো দুঃসাহস ওদের থাকতো না।

'এটা আমরা আগেও বলেছি, আমরা এখনো বলছি। গণতন্ত্র হত্যাও বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে শুরু হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাই গণতন্ত্র হত্যার সূচনা করেছে এ স্বাধীন বাংলাদেশে। এরপর ৩ নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ড,' যোগ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আপনারা জানেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর এই দেশে আমাদের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। আজকে বিএনপি বড় বড় কথা বলে, আমি এই কথাটা বলতে চাই, আমাদের নেত্রীকে ২০ বার হত্যা করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। অন্তত ২০ বার তার প্রাণনাশের ষড়যন্ত্র হয়েছিল। খালেদা জিয়া এবং বিএনপির প্রথম সারির কোন নেতার বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের হুমকি ছিল সেটাই দেশের কারও জানা নেই। এখানে শেখ হাসিনাই বারবার টার্গেট।

'বিএনপির নেতারা কেউ বলতে পারবে না, আওয়ামী লীগ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করেছে। হত্যা রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না, সেটা বাংলাদেশের রাজনীতি আওয়ামী লীগ বারবার প্রমাণ করেছে। আওয়ামী লীগ কাউকে হত্যা করে এখানে ক্ষমতার রাজনীতিকে চিরস্থায়ী করতে কখনো চেষ্টা করেনি।'

তিনি বলেন, 'আমরা এ কথা স্বীকার করেছি যে, অতীতে আমাদের ভুল-ত্রুটি হতে পারে। যে ভুল-ত্রুটি থেকে শিক্ষা নেওয়ার সৎ সাহস আওয়ামী লীগের আছে। এটা কিন্তু আমরা স্বীকার করেছি, আমাদের নেত্রী তার বক্তব্যের মধ্য দিয়েও স্বীকার করেছেন।'

Comments