‘কেউ ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে—প্রত্যাশায় থাকলে ড্রয়িং রুমে বসে সিনেমা দেখতাম’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, কেউ ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে বিএনপি যদি সেই প্রত্যাশায় বসে থাকত, তাহলে তো বিগত দেড় বছর ধরে আমাদের ড্রয়িং রুমে বসে এয়ার কন্ডিশন চালিয়ে আমরা টেলিভিশনে সিনেমা দেখতাম।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মগবাজারে যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নের বাসায় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে—আওয়ামী লীগের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মঈন খান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, 'সরকার যে অভিযোগগুলো আনছে, প্রথমত এই অভিযোগগুলোর পেছনে কোনো সত্যতা আছে? সেটাই হলো প্রশ্ন। সরকার যে কথাগুলো বলছে তার পেছনে তো কোনো যুক্তি নেই।'
তিনি বলেন, 'বিদেশিদের কথা বলেছে, কেউ ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে বিএনপি যদি সেই প্রত্যাশায় বসে থাকত, তাহলে তো বিগত দেড় বছর ধরে আমাদের ড্রয়িং রুমে বসে এয়ার কন্ডিশন চালিয়ে আমরা টেলিভিশনে সিনেমা দেখতাম। আমরা কি বিগত দেড় বছর সেটা করেছি?
'আমরা বিগত দেড় বছর সারা বাংলাদেশ চষে ফেলেছি। আমরা জনসমাবেশ করেছি, প্রতিবাদ সভা করেছি লাখ লাখ মানুষকে নিয়ে। সরকার ভীত হয়ে; সাধারণত বিরোধী দল কোনো দেশে হরতাল দেয়, সরকার নিজেই প্রতিবাদ সভাগুলো বানচাল করার জন্য সরকারিভাবে গাড়ি-ঘোড়া সব চলাচল বন্ধ করে দিয়ে, এমনকি তাদের প্রতীক যে নৌকা সেই নৌকা চলাচল বন্ধ করে দিয়ে যাতে মানুষ মিটিংয়ে আসতে না পারে; তারা নিজেরা অঘোষিত হরতাল ঘোষণা করেছিল। এই হলো বাংলাদেশের রাজনীতির বাস্তব অবস্থা,' বলেন তিনি।
এ সময় বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচির কথা তুলে ধরে মঈন খান।
তিনি বলেন, 'সরকার যে অভিযোগগুলো আনে, সেগুলো আনতে পারে। এর বাইরে সরকার আরও অনেক কথা বলতে পারে কিন্তু কোনোটারই কোনো যুক্তি নেই। এগুলো সম্পূর্ণ যুক্তিহীন কথা এবং বাংলাদেশের মানুষ জানে, যে কথাগুলো বলছে সরকার, এর পেছনে কোনো রকম কোনো সত্যতা নেই। জানে বলেই নির্বাচনকে (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) তারা সম্পূর্ণ নীরবে প্রত্যাখ্যান করে সরকারকে বুঝিয়ে দিয়েছে যে, এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই।'
সরকার ভিন্ন মত প্রকাশের সুযোগ দিচ্ছে না অভিযোগ করে মঈন খান বলেন, 'আজকে সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে, এটা আমরা দেখতে পাচ্ছি কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এই যে, সরকার যদি মানুষের ভালোবাসা নিয়ে এ দেশে ক্ষমতায় থাকতে চায়, তাহলে মানুষকে কথা বলার স্বাধীনতা দিতে হবে। ভোটের স্বাধীনতা দিতে হবে। এ দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।'
Comments