যারা পণ্য বর্জন করতে বলে, তাদের রান্না ঘর-ড্রেসিং রুম-শোবার ঘরে ভারত: কাদের

যারা পণ্য বর্জন করতে বলে, তাদের রান্না ঘর-ড্রেসিং রুম-শোবার ঘরে ভারত: কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'ভারতীয় পণ্য যারা বর্জন করতে বলে, তাদের রান্না ঘরে ভারত, তাদের ড্রেসিং রুমে ভারত, তাদের শোবার ঘরে ভারত। এটা হলো বাস্তবতা।'

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত রংপুর বিভাগীয় মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সঠিক পথে আছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আজকে বাংলাদেশে যে যেটাই বলুক, আমাদের ভেতরের খবর আমরা জানি। আর্থিক বিভিন্ন সূচকে আমাদের অবস্থান আমরা জানি।'

তিনি বলেন, 'এই মুহূর্তে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্টেবল, আমাদের এখন আশঙ্কা করার কোনো কারণ নেই। আপনারা অপপ্রচার-মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হবেন না।'

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। দুঃসময়ে, একাত্তরে পাশে দাঁড়িয়েছে। সেই ভারত বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের খেলা; একাত্তরেও এই খেলা চলেছিল। এই অশুভ খেলায় একাত্তরের মতো ভারতসহ কিছু বন্ধু এবারও আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এটা হলো ভারতের অপরাধ। সে ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে বলে। ভারতীয় পণ্য যারা বর্জন করতে বলে, তাদের রান্না ঘরে ভারত, তাদের ড্রেসিং রুমে ভারত, তাদের শোবার ঘরে ভারত। এটা হলো বাস্তবতা। রাজনীতির এই নোংরা খেলা পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যে অশুভ খেলা—ভারত বিরোধিতা, ঠিক একই অশুভ খেলা আবার শুরু হয়েছে। সব কিছু হারিয়ে বিএনপি এখন ভারত বিরোধিতায় নেমেছে। অ্যান্টি ইন্ডিয়া ক্যাম্পেইন।'

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা বিভ্রান্ত হবো না। আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। কিছুই করতে পারবে না। কিছু করার ক্ষমতা তাদের নেই। আজকে নেতারা যখন একে একে জেল থেকে ছাড়া পেল, তখন বলে ৮০ শতাংশ নেতাকর্মী নাকি কারাগারে নির্যাতিত হয়েছে।'

এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নির্যাতিত নেতাকর্মীর তালিকা প্রকাশ করার আহ্বান জানান কাদের।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, 'আমাদের আজকে নিজেদের মনে রাখতে হবে, আপন ঘরে যার শত্রু তার শত্রুতা করার জন্য বাইরের শত্রুর দরকার হয় না। আপন ঘরের শত্রু তাড়াতে হবে। আপন ঘরে শত্রু রেখে আমরা কোনো দিনও আমাদের লক্ষ্য, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লড়াই সফল হবে না।'

ঘরের সমস্যা ঘরে সমাধান করা হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'ঘরের মধ্যে যদি আমরা একে অপরের সঙ্গে শত্রুর মতো আচরণ করি; কিছু কিছু ঘটনা জাতীয় নির্বাচনের পরে বিভিন্ন জায়গায় ঘটে গেছে। এর পুনরাবৃত্তি যেন আর না হয় সে ব্যাপারে আমি সবাইকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করব। আমরা চ্যালেঞ্জিং টাইম অতিক্রম করছি। এ সময় ঠান্ডা মাথায় কাজ করতে হবে। কথা বলতে সাবধান থাকতে হবে। দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা অনেকেই বলে ফেলেন। দেখি পত্র-পত্রিকায় বের হয়। ফেসবুক তো আছেই, সঙ্গে সঙ্গে সারা দুনিয়ায় চলে যায়। এখানকার একটা ঘটনা আমরা দেখার আগে সাউথ আফ্রিকা থেকে ফোন পাই। এটা দলের জন্য কতটা লজ্জার ব্যাপার, একটু ভেবে দেখবেন।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh's 8 mega projects cost $7.5b more for graft, delay

Taskforce report: 8 mega projects cost $7.5b more for graft, delay

The initially estimated costs of these projects were $11.2 billion in total

11h ago