প্রধানমন্ত্রী বলেছেন জাতির স্বার্থে আমাকে তার প্রয়োজন: শাহজাহান ওমর

শাহজাহান ওমর
ঝালকাঠিতে পথসভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান ওমর। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান ওমর বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে জাতির স্বার্থে আমাকে তার প্রয়োজন।'

আজ শনিবার বিকেলে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের কানুদাসকাঠী গ্রামে বর্তমান সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের বাড়ির প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। 

সভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে শাহজাহান ওমর বলেন, '২০১৪ সালে আমি কি নির্বাচন করছি? ২০০৯ সালে কি আমি নির্বাচন করছি? ২০১৮ সালে পুলিশ-মিলিটারি ব্যারিকেড দিয়ে রাখছে। আমি নির্বাচনই করতে পারি নাই।'

তিনি বলেন, 'আমি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায়, হারুন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।'

এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, 'আমি ৩০ নভেম্বর (মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত জানতাম না যে আমাকে নির্বাচন করতে হবে। হঠাৎ করে ফোন পেলাম গণভবন থেকে, প্রধানমন্ত্রী আমাকে সালাম জানাইছেন। সকাল ১১টা বাজে তখন। স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম কী করব। উনি বললেন, প্রধানমন্ত্রী ডেকেছেন, রাজদর্শন। যাও দেখা করো।'

'উনি (প্রধানমন্ত্রী) বললেন, আপনি অন্য দল থেকে এমপি হয়েছেন। এবার আমার দল করা যায় না? আমি বললাম যায়। উনি বললেন যে তাহলে আমার দল থেকে ইলেকশন করেন। আমি বললাম, হারুন সাহেব তো ভালো লোক। উনি রিলিফ বিক্রি করেন না, চাকরি দিয়ে টাকা নেন না। এই লোকটাকে কেন নেত্রী রাখবেন না। উনি বললেন যে জাতির স্বার্থে আপনাকে আমার প্রয়োজন,' বলেন তিনি।

'আমি বললাম, নেত্রী আপনি আমাকে ইলেকশন করতে বলেছেন, আমার একটা শর্ত আছে। বললাম, আপনার তিন ভাই ১৫ আগস্ট শহীদ হয়েছেন। আপনি যদি আমাকে চতুর্থ ভাই হিসেবে গ্রহণ করেন, তাহলে আপনাকে আমি কী সার্ভিস দিতে পারি, আপনি দেখবেন। উনি আমাকে গ্রহণ করলেন। তখন আমাকে দস্তখত করতে বললেন, যোগ করেন শাহজাহান ওমর। 

তিনি বলেন, 'এরপর সাড়ে ১১টায় ঢাকা থেকে রওনা দিলাম। সাড়ে ৩টায় এলাকায় গিয়ে হলফনামা জমা দিলাম। কারও সঙ্গে আলাপ করার সুযোগ আমার ছিল না। নেত্রী অনেক জ্ঞানী। আমি হারুন সাহেবের বাড়া ভাত কেড়ে নিতে আসিনি। আমি হারুন ভাইকে বলেছি, উনার কোনো কাজে আমি বাধা হতে চাই না।'

ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। নাশকতা মামলায় গত ২৯ নভেম্বর জামিন পান তিনি। এরপর আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র তোলেন। পরে বিএনপি থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। 

পথসভায় শাহজাহান ওমর আরও বলেন, 'আমাকে বিভাজন করলে কোনো লাভ হবে না। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেক পুরোনো। বর্তমান সংসদ সদস্য হারুনের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক।'

বক্তব্যে তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, '৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে ৭০ ভাগ ভোটার উপস্থিত করতে হবে।'

বিদেশিদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে আজকে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। তারা কেউ বলে বাংলাদেশের নির্বাচন কম্পিটেটিভ হবে না। তাই ৭০ ভাগ ভোটার উপস্থিত করাতে হবে।'

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নেতা শাহজাহান ওমর দাবি করেন, 'আমেরিকা চেয়েছিল চট্টগ্রামে এয়ারফোর্সের জন্য একটি বেইজ করতে, যেখান থেকে তারা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আঘাত হানতে পারে। শেখ হাসিনা তাদের প্রস্তাবে রাজি হলে, তিনি আমৃত্যু প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা হতে দেন নাই।' 

 

Comments

The Daily Star  | English

Admin officers protest plan for more non-admin deputy secretaries

Non-admin officers announce strike tomorrow, demanding exam-based promotions

1h ago