নির্বাচন প্রতিহতের চিন্তা বিএনপির, কৌশলে আসতে পারে পরিবর্তন
সরকার ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে আগামী ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন প্রতিহত করার পরিকল্পনা করছে এখন বিএনপি।
নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে সংঘর্ষ ও সহিংসতার পর গত ২৯ অক্টোবর থেকে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সারাদেশে হরতাল ও দফায় দফায় অবরোধ করছে দলটি।
এদিকে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি যথাক্রমে ২৯৮ ও ২৮৯টি আসনে তাদের মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করেছে।
অন্যদিকে বিএনপি নেতারা বলছেন, তাদের আন্দোলনের কৌশলে কিছু পরিবর্তন আসবে, কারণ এখন মূল লক্ষ্য হবে ভোট প্রতিহত করা।
তারা আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের কারণে, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে সরকার ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনের তীব্রতা কমে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, 'আমরা এখনো নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। কিন্তু তা করতে হলে আমাদের এখনই ভোট প্রতিহত করতে হবে।'
তবে নতুন কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বললে পারেননি তিনি।
গত ২৯ অক্টোবর থেকে সপ্তাহে চার দিন হরতাল ও অবরোধ ডেকেছে বিএনপি। দলটি নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে বলেছে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না এবং ইসি সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী তফসিল ঘোষণা করেছে।
এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল বুধবার অবরোধ ও বৃহস্পতিবার হরতালের ডাক দিয়েছে দলটি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গতকাল বলেছেন, ২৮ অক্টোবর থেকে গতকাল পর্যন্ত অন্তত ১৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে, ১৭ হাজারের বেশি দলীয় নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বিরোধী দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে ৪৩৫টির বেশি মামলা হয়েছে।
তারা বলছেন সরকারের 'দমনমূলক পদক্ষেপের' কারণে দলের নেতা-কর্মীরা চাপের মধ্যে রয়েছেন।
এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি যা আদলতের রায়ে বাতিল হয়। এরপর তারা ভোট প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় এবং হরতাল ও অবরোধ আরোপ করে, কিন্তু সবকিছুই বৃথা যায়।
বিএনপি আবার ব্যর্থ হবে কি না জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল মাহমুদ টুকু বলেন, 'ফ্যাসিবাদী সরকার যেকোনো কিছু করতে পারে। আমরা একটি আন্দোলনে আছি এবং এর কৌশল সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয়। তার মানে এই নয় যে আমরা ব্যর্থ হয়েছি।'
তিনি আরও বলেন, 'সাজানো ভোট' এড়ানোর জন্যই তাদের আন্দোলন।
Comments