আ. লীগ একটা প্রোপাগান্ডা দলে পরিণত হয়েছে: মির্জা ফখরুল
সরকার পতনের 'এক দফা' দাবিতে আজ বুধবার দুপুর ৩টার দিকে ঢাকার নয়াপল্টনে জনসমাবেশ করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
বিএনপির আজকের এই সমাবেশ ঘিরে বেশকিছু অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তার এসব অভিযোগসহ নানা বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টার টেলিফোনে কথা বলেছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে।
দ্য ডেইলি স্টার: আজকের জনসভায় কি সারা দেশ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা আসছেন?
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর: না, আজকের জনসভায় ঢাকা মহানগরের লোকজন আসবেন। হয়তো আশেপাশের জেলা থেকে কিছু কিছু মানুষ আসতে পারেন তাদের নিজেদের উদ্যোগে।
আমাদের এটা কিন্তু একটা জনসমাবেশ। সারা দেশ থেকে মানুষ আসার কথা নেই। আমি এখন পল্টনের জনসভার দিকে যাচ্ছি। রাস্তায় অসংখ্য মানুষ দেখতে পাচ্ছি। এর মধ্যে বেশিরভাগ দেখতে পাচ্ছি ঢাকা মহানগরের।
ডেইলি স্টার: আমিন বাজারের দিকে কিছু চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশ নাকি বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে?
মির্জা ফখরুল: গ্রেপ্তার তো গতকাল সন্ধ্যা থেকে শুরু করেছে। ঢাকা মহানগরের প্রত্যেক এলাকায় রেইড দিয়েছে, অনেককে অ্যারেস্ট করেছে। আশেপাশের হোটেল থেকেও অ্যারেস্ট করেছে।
আমাদের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে অ্যারেস্ট করেছে, আবুল কালাম আজাদকে অ্যারেস্ট করেছে। এভাবে বহু অ্যারেস্ট করেছে। আমি এখন সঠিক সংখ্যা বলতে পারবা না।
আগের মতোই পুলিশ আমাদের যেকোনো কর্মসূচির আগে গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে। তারা মুখে যে কথাগুলো বলে, ঠিক তার উল্টো কাজটা করে। এটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগ।
ডেইলি স্টার: ওবায়দুল কাদের একটু আগেও বলেছেন, আমরা বিএনপির বিরুদ্ধে নতুন কোনো মামলা দিচ্ছি না, পুরনো মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল: একদম বাজে কথা, মিথ্যা কথা। রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু পুরনো সব মামলায় জামিনে আছেন। তাকে তো কাদের সাহেবদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এগুলো আওয়ামী লীগের ভাঁওতাবাজি।
আর তর্কের খাতিরে যদি মেনেও নেই, তারপরও নতুন মামলা দেওয়ার দরকার কি! বিএনপির একেকজন নেতাকর্মীর নামে আগেই তো ৩০০-৪০০ করে মামলা দিয়ে রেখেছে। সব বানোয়াট মামলা, গায়েবি মামলা।
ডেইলি স্টার: বিএনপির বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ হচ্ছে, আপনারা সারা দেশ থেকে লোক এনে জড়ো করছেন। সব হোটেল-ফ্ল্যাট ভাড়া করে ফেলেছেন, সন্ত্রাসী এনেছেন।
মির্জা ফখরুল: এটা সম্পূর্ণ বাজে কথা। সারা দেশ থেকে আজ আমাদের লোকজন আসারই কথা না। আসলে আওয়ামী লীগ একটা প্রোপাগান্ডা দলে পরিণত হয়েছে, এটা আর রাজনৈতিক দল নেই। এগুলো হচ্ছে গ্রেপ্তার করা, ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য কিছু অজুহাত সৃষ্টি।
তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজই তো বলে, তারা কথা-বার্তা যা বলে তাতে বোঝা যায় যে পুরো সন্ত্রাসের ক্ষেত্র তৈরি করছে। আমরা জোর গলায় বলতে পারি, এখন পর্যন্ত আমরা কোনো রকম সন্ত্রাস করিনি। সন্ত্রাস করার ইচ্ছাও আমাদের নেই। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রাজনীতি করে যাচ্ছি।
আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে দেশের মানুষের অংশগ্রহণ দেখে আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদেরের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা একদিকে আবোল-তাবোল কথা বলছেন, আর অপর দিকে শতভাগ মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় বিএনপি নেতাদের শাস্তি দিয়ে জেলে ঢোকাচ্ছেন এবং ঢোকাতে চাচ্ছেন।
মিথ্যা মামলার রায় দিয়ে আমাকেও কারাগারে পাঠাতে চায়। আওয়ামী লীগ দেশকে একটা বিপজ্জনক দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দেশকে বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্যই আমরা আন্দোলন করছি।
Comments