‘মানুষ অনাস্থা দিয়েছে, সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর কোনো অধিকার নেই’

ময়মনসিংহের ত্রিশালে রোডমার্চপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। ছবি: সংগৃহীত

সরকারের পদত্যাগ ছাড়া জনগণ রাজপথ ছাড়বে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।

আজ রোববার সকালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে রোডমার্চপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আবদুল মঈন খান বলেন, 'আজকে আমরা রাজপথে নেমেছি। আপনারা এই প্রত্যয় নিন… যতক্ষণ পর্যন্ত না বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনব, ততক্ষণ পর্যন্ত রাজপথ ছেড়ে যাব না এবং যতক্ষণ পর্যন্ত এই জনপ্রতিনিধি-বিহীন সরকার দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছে, সেই সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত না পদত্যাগপত্র জমা দেবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না।'

'গত এক বছর ধরে আপনারা দেখেছেন, আমরা কোটি কোটি মানুষকে সম্পৃক্ত করে রাজপথে সমাবেশ করেছি, মিছিল করেছি, মিটিং করেছি এবং এই সরকারের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ অনাস্থা দিয়েছে। কাজেই এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর কোনো অধিকার নেই। যত শিগগির তারা ক্ষমতা থেকে বিদায় নেবে তত দেশের মঙ্গল হবে', বলেন তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, 'আগামী দিনে আন্দোলন আরও জোরদার হবে। কারণ মানুষ বাঁচতে চায়, এ দেশের গরিব মানুষের আর বাঁচার উপায় নেই। জিনিসপত্রের দাম যে হারে বাড়ছে, মানুষ জীবন বাঁচাতে পারবে না।'

'কাজেই যদি বাঁচতে চান, যদি সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে চান, হালাল উপার্জন করে বাঁচতে চান, যদি মর্যাদার সঙ্গে জীবনযাপন করতে চান, নিজের ভোট নিজে দিতে চান, তাহলে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে, নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আগামী দিনে এই লড়াই হবে, এই লড়াইয়ে আমাদের জিততে হবে', বলেন তিনি।

সরকার পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির এক দফা দাবিতে এই রোডমার্চ হয়। সকাল সাড়ে ১১টায় ত্রিশালের বগার বাজারে রোডমার্চ শুরু হয়। এটি ১১৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে কিশোরগঞ্জে গিয়ে শেষ হবে।

এর আগে, গত ২১ সেপ্টেম্বর সিলেটে, ২৩ মার্চ বরিশালে ও ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনায় রোডমার্চ করে বিএনপি। এটি বিএনপির চতুর্থ রোডমার্চ।

ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মাহবুবুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে সমাবেশে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, ওয়ারেছ আলী মামুন, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানি, ছাত্রদলের রাশেদ ইকবাল খান এবং রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Comments

The Daily Star  | English
Overall situation of foreign direct investment

Net foreign direct investment hits six-year low

The flow of foreign direct investment (FDI) in Bangladesh fell to $104.33 million in the July-September quarter of fiscal year 2024-25, the lowest in at least six years, as foreign investors stayed away from Bangladesh amid deadly political unrest, labour agitation, and a persistent economic crisis.

12h ago