‘মশার ওষুধ কেনার জালিয়াতি ঢাকতেও জালিয়াতি করেছে সরকার’
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, সরকার দেশে দুর্ভিক্ষ ডেকে আনছে। শেখ হাসিনা ছলচাতুরী করে আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আয়োজনে 'ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতার প্রতিবাদে সমাবেশ'-এ তিনি এ কথা বলেন।
এসময় মশারি মিছিল পূর্ব সমাবেশে নুর বলেন, 'গত পরশু ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে অব্যাহত মানবাধিকার লঙ্ঘন, ভিন্নমতের দমন-পীড়ন ও মানবাধিকারকর্মীদের হয়রানিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রস্তাব পাস করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমরা বারবার অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে। সরকার যদি সুষ্ঠু নির্বাচন না করে, বিদেশিরা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে করে ফেলবে।'
'বিদেশিদের নিষেধাজ্ঞার ফলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত, গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাবে। জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। দেশে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হবে। আমাদের কথা পরিষ্কার, সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে', বলেন তিনি।
দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা উল্লেখ করে নুর বলেন, 'সরকার মশার ওষুধ কেনার জালিয়াতি ঢাকতেও জালিয়াতি করেছে। ভুয়া কোম্পানি থেকে মশার ওষুধ কিনেছে। এরা বাটপার, প্রতারক, ভুয়া। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন পিষ্ট। এরা জনগণের জন্য কিছুই করবে না। এই অবৈধ সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করে আমরা একটা একটা করে সমস্যার সমাধান করব।'
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, 'একটা ডাব কিনতে ২০০ টাকা লাগে, শেখ হাসিনার তো আর ডাব কিনে খেতে হয় না। জনগণ যে কষ্টে আছে সেটা তারা বুঝবে না। দেশে-বিদেশে সব জায়গায় এই সরকারকে মানুষ ভোট চোর বলে। গত দুটি নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। তাই সরকারকে বলছি- এবার অন্তত ভোট দেওয়ার সুযোগটা দিন।'
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, 'ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় মানুষ মারা যায়, অথচ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্লেনে চড়ে সিঙ্গাপুর চলে যান চিকিৎসার জন্য। ঢাকার দুই মেয়র ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে আমেরিকায় যাবেন না। অথচ আগামীকাল রোববার তিনি নিউইয়র্কে যাচ্ছেন। দেশের মানুষ না খেয়ে মরে, বাজারে নিয়ন্ত্রণ নেই, নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে, অথচ ক্ষমতায় থাকার জন্য টাকা-পয়সা খরচ করে তারা বিশাল বহর নিয়ে বিদেশে ধর্না দিয়ে বেড়াচ্ছে।'
সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে গণঅধিকার পরিষদের মশারি মিছিল পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুহেল রানার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদ উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিম, অ্যাডভোকেট নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) তারিকুল ইসলাম ও যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন প্রমুখ।
Comments