পদ হারানোর ভয়ে ওবায়দুল কাদের মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন: রিজভী

ছবি: সংগৃহীত

দলীয় পদ হারানোর ভয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব) আয়োজিত 'সত্যনিষ্ঠ সাহসী সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের সংগ্রাম ও সাংবাদিকতা' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অসুস্থতা তো আছেই, তিনি এখন মানসিক অসুস্থতায়ও ভুগছেন। কখন তার সাধারণ সম্পাদকের পদ চলে যায়! বিএনপির যদি আন্দোলনের বারোটা বাজে তাহলে আপনি আশঙ্কা করছেন কেন? তাহলে কী ঘটনা আছে?'

'আপনারা যে দুর্বল হয়ে গেছেন, গণবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন, আপনাদের যে কোনো ধরনের জনভিত্তি নেই, আপনারা সেই আশঙ্কা করছেন। কিন্তু কথা বলছেন উল্টো। নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করার জন্য এই কথাগুলা বলছেন', যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'ওবায়দুল কাদের সাহেব চারদিকে পুলিশ পরিবেষ্টিত, র‌্যাব পরিবেষ্টিত থাকেন। বিএনপির কর্মসূচি হলে নির্দ্বিধায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আক্রমণ- গুলি করতে দ্বিধা করে না। গত বছরের আগস্ট থেকে এই বছরের আগস্ট পর্যন্ত আমাদের ২০ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। অনেকে চোখ হারা, কারো হাতের কবজি কাটা, কেউ কেউ পা হারাচ্ছে, অনেকের গোটা শরীর গুলিতে ক্ষতবিক্ষত।তারপরও জাতীয়তাবাদী শক্তি এখনও রাস্তায়,গণতন্ত্রগামী মানুষ রাস্তায়।'

বিএনপির এই নেতা বলেন, 'এত বাধার মুখেও আপনারা দেখেছেন, গতকাল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে যে ঢেউটা নেমেছিল এসব দেখে ওবায়দুল কাদের সাহেব এক ধরনের বিভ্রান্তিতে ভুগছেন। ডিমেনশিয়া বলে একটি রোগ আছে। একটু আগে যে কথা বলেন, তারপর তা ভুলে যান।'

'তিনি প্রায়ই নিজেদের নেতাকর্মীদের বলেন, তোমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হও, সতর্ক থাক। না হয় কিন্তু দেশের টিকে থাকতে পারবে না। আবার বলেন, যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে এক লাখ লোক মারা যাবে', যোগ করেন তিনি।

সরকারের উদ্দেশে রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'এখনও সময় আছে, খুব দ্রুত তত্ত্বাবধায়ক সরকার জনদাবি মেনে নিন। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। সুষ্ঠু নির্বাচন চাওয়াটা কোনো ষড়যন্ত্র নয়। এটা জনগণের দাবি, জনগণ এটা চায়।'

রিজভী বলেন, 'কুষ্টিয়ায় আদালতে মাহমুদুর রহমানের ওপর ভয়ংকর আক্রমণ করা হয়েছে। এটা কি একটা রাষ্ট্র? আজকে যে অভিযোগে আমেরিকার আদালত মামলা বাতিল করে দেয়, সেখানে বাংলাদেশে একটা নিউজর কারণে বিচার করা হয়। এটা তো শেখ হাসিনার আদালত,আওয়ামী লীগের আদালত।'

'সেই আদালতে সাজা দেওয়া হয়েছে মাহমুদুর রহমানকে ও শফিক রেহমানকে। সাজা দেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে, তারেক রহমানকে। কারণ শেখ হাসিনা ন্যায় বিচারের আদালতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। সেখানে এ ধরনের বিচারই হবে। সেজন্যই তো বিচারকরা বলছেন, শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ। আজকে শফিক রেহমান-মাহমুদুর রহমান দেশে থাকলে শেখ হাসিনা তাদের মেরে ফেলতেন', বলেন এই বিএনপি নেতা।

সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানের সাজা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

বিএনপির এই শীর্ষনেতা আরও বলেন, 'আওয়ামী লীগ হলো গুণ্ডাদের দল। রাষ্ট্রকে দিয়ে শেখ হাসিনা এগুলো করছেন। তিনি শেখ হাসিনা এবং তার দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সবসময় গুণ্ডাদের মতো কথা বলেন।'

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Discrimination Students Movement

Students to launch a party by next Feb

Student leaders who spearheaded the July-August mass uprising are planning to launch a political party by early February 2025 and contest the next general election.

8h ago