‘বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলায় বর্তমান সরকার কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি’

ডাঃ ইউনূসের ৬ মাসের জেল
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত মামলায় সরকার কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি।

আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

বিচার বিভাগ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তাদের নেতারা দেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নেতিবাচক মন্তব্য করছেন।'

'অথচ বিএনপির দুর্নীতিপরায়ণ শীর্ষ নেতৃত্বের অপরাধ দীর্ঘ বৈচারিক প্রক্রিয়া এবং সাক্ষ্য প্রমাণের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের রায়ে তাদের শাস্তি হয়েছে,' বলেন তিনি।

তিনি বলেন, '২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড, দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমানের দুর্নীতি ও অর্থপাচারের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের প্রতিনিধি এসে সাক্ষ্য দিয়েছে। জিয়া পরিবারের পাচারকৃত ৪০ কোটি টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনা হয়েছে।'

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, 'এতিমের টাকা আত্মসাতের দায়ে বেগম খালেদা জিয়াও সাক্ষ্য প্রমাণের মধ্য দিয়ে এবং প্রচলিত আইন অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালতের রায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। সাক্ষ্য প্রমাণ এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা পরিচালিত হয়েছে এবং আদালত আইনের বিধান অনুযায়ী দোষীদের শাস্তি দিয়েছেন।'

'বিএনপি নেতাদের নামে পরিচালিত এসব মামলায় সরকারের কোনো যোগসূত্র নেই। ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এসব মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বর্তমান সরকার কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি,' বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, 'মির্জা ফখরুল ইসলাম ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলার কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু দেশবাসী জানে, দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এবং সাক্ষ্য প্রমাণের মাধ্যমে তা প্রমাণিত হওয়ায় মামলা খারিজ করেছে উচ্চ আদালত।'

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'দেশের সংবিধান, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন, জনমত, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি কোনো কিছুর প্রতি জন্মলগ্ন থেকেই বিএনপির কোনো প্রকার আস্থা নেই। তাই তারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের বিরুদ্ধে বিষদগার করে।'

'স্বাধীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বারবার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি চালু করেছিল। দলীয় বিচারপতি নিয়োগের পথ সুগম করার জন্য সংবিধান লঙ্ঘন করে ৪ জন বিচারপতিকে জোরপূর্বক বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছিল জিয়াউর রহমান।'

'তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে খালেদা জিয়া। বিচার বিভাগকে তারা দলীয় আঙিনায় রূপান্তরিত করেছিল। হাওয়া ভবন থেকে নিয়ন্ত্রিত হতো সবকিছু । বিএনপির আমলে তারা প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি পর্যন্ত মেরেছে,' যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'যুদ্ধাপরাধীর পুত্রকে জামিন দিতে দেশের আইন ও কোর্টের বিধি লঙ্ঘন করে হাইকোর্টের একজন বিচারক রাতের বেলা তার ঘরে কোর্ট বসিয়েছিল। তাদের দলীয় রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদের অবৈধভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ গ্রহণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের বিচারকাজ চলমান থাকা অবস্থায় তৎকালীন বিএনপি দলীয় অ্যাটর্নি জেনারেলের নির্দেশে গঠিত বেঞ্চ নজিরবিহীনভাবে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।'

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, 'দেশের বিচারব্যবস্থা ও সংবিধানকে বারবার কলঙ্কিত করেছে বিএনপি। বিএনপি আজ তাদের শীর্ষ নেতাদের অপরাধ থেকে বাঁচানোর জন্য সংবিধান ও বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।'

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আওয়ামী লীগ সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে সুসংহত করেছে। দেশের বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করে স্বাধীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।'

'শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিচারহীনতার অপসংস্কৃতির পরিবর্তে দেশে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের সংবিধান, বিচারব্যবস্থা নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেয়া বক্তব্য দুরভিসন্ধিমূলক,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

NBR officials call off shutdown after govt warning

Officials of the National Board of Revenue have withdrawn their shutdown, following a stern government warning and mounting pressure from the country’s top business leaders.

29m ago