সিইসির পদত্যাগ ও নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন

২১ জুন গণমিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সিইসির পদত্যাগ ও নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন
ছবি: সংগৃগীত

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় অভিমুখে গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। 

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ২১ জুন গণমিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।

আজ রোববার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির আমির মুফতি রেজাউল করিম (চরমোনাই পীর)।

সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তোরণ ও একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে মতবিনিময় কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। আগামী ২৪ জুন এই কর্মসূচি পালন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চরমোনাই পীর বলেন, 'বর্তমান বিতর্কিত সরকারের ক্ষমতার মেয়াদ প্রায় শেষ প্রান্তে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে সরকারের পরিবর্তন হতে হলে, একটি সুনির্বাচন লাগবে। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতার পালা বদল হোক। কিন্তু আগামী জাতীয় নির্বাচন কীভাবে হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।'

'ক্ষমতাসীনরা এবারও জাতীয় সংসদ বহাল রেখে গায়ের জোরে তাদের অধিনেই একটি নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন করতে চায়।
আমাদের অভিজ্ঞতা হলো, জাতীয় সংসদ বহাল রেখে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে, সেই নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য হবে না। বরং আবারও ২০১৪ ও ২০১৮ এর নির্বাচনের মতো নির্বাচনের নামে প্রহসন হবে। রাতের ভোটে নির্বাচিত বর্তমান সংসদের কোনো নৈতিক বৈধতা নেই। এই অবৈধ সংসদ বহাল রেখে কোনো নির্বাচন দেশবাসী মেনে নেবে না।'

তিনি বলেন, 'অতএব আমরা বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন চাই।'

চরমোনাই পীর আরও বলেন, 'দেশের মানুষ আজ আতঙ্কিত। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা আজ চিন্তিত। দেশময় সংঘাত আর সহিংসতার অশনি সংকেত পাওয়া যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নবম জাতীয় সংসদে একতরফাভাবে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ করার পর থেকেই রাজনৈতিক সংকটে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। আমরা বারবার রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের দাবি জানিয়ে আসছি। দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ সংকট সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলে আসলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে ফেলেছে। বিগত প্রায় ১৪ বছর দেশে কোনো সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়নি। স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোতেও জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি। ক্ষমতাসীনরা তাদের দলীয় লোকদের নির্বাচিত করার জন্য এহেন কাজ নেই যা করেনি। নির্লজ্জভাবে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসন কেউই নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেনি। ফলে নির্বাচনকে মানুষ এখন প্রহসন এবং তামাশা মনে করে। আগামীতে মানুষ আর তামাশা ও প্রহসনের নির্বাচন দেখতে চায় না।'

সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন উপস্থিত ছিলেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Personal data up for sale online!

A section of government officials are selling citizens’ NID card and phone call details through hundreds of Facebook, Telegram, and WhatsApp groups, the National Telecommunication Monitoring Center has found.

26m ago