বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করে কী লাভ হবে, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

হাছান মাহমুদ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'যারা নির্বাচন প্রতিহত করতে চায়, যারা নির্বাচন ঠেকাতে চায়, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে কী লাভ হবে? সেটি হচ্ছে বড় প্রশ্ন।'

আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশের দেশ কানাডার আদালত থেকে রায়প্রাপ্ত, অর্থাৎ আদালত কর্তৃক ভ্যালিডেটেড সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল হচ্ছে বিএনপি। যারা মানুষ পুড়িয়েছে, গাড়ি-ঘোড়া পোড়ায়, পুলিশের ওপর হামলা চালায়, মানুষের ওপর-মানুষের সম্পত্তির ওপর হামলা চালায়, যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালায়।'

তিনি বলেন, 'বেগম খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় পুত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর তার প্রতি সহানুভূতি জানাতে দেশের প্রধানমন্ত্রী গিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরও দরজা খোলেনি। সেই দলের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় বসেছেন, আলোচনায় বসার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন।'

'যারা এ ধরনের অগ্নিসন্ত্রাস চালায়, মানুষের ওপর হামলা চালায় তাদের সঙ্গে আলোচনা কতটুকু ফলপ্রসূ হবে বা তাদের সঙ্গে আলোচনা করে কী হবে সেটি হচ্ছে বড় প্রশ্ন,' বলেন তথ্যমন্ত্রী।

তার মানে কি এখন আর আলোচনার সুযোগ নেই বিএনপির সঙ্গে—গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বিএনপির যদি নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রসঙ্গ থাকে সেটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। নির্বাচন আয়োজন প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের ডাকে আমরা নির্বাচন কমিশনে যাব।'

সামনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বড় ২ রাজনৈতিক দলের আসলে বসার কোনো সুযোগ নেই তার মানে—গণমাধ্যমকর্মীদের পাল্টা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'দেখুন, সেই প্রসঙ্গ এখনো আসেনি। তবে বিএনপির সঙ্গে অতীতের আলোচনার অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায়, এই সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল, যারা নির্বাচন প্রতিহত করতে চায়, যারা নির্বাচন ঠেকাতে চায়, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে কী লাভ হবে? সেটি হচ্ছে বড় প্রশ্ন।'

হাছান মাহমুদকে আবারও প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'দেখুন, প্রথমত নির্বাচন আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে ডাকতে পারে। বিএনপিকে তো ডেকেছিল, তারা যাবে না বলেছে। আওয়ামী লীগকেও ডাকতে পারে। সেখানে নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের ডাকে আমরা অবশ্যই যাব। নির্বাচনের রেফারি তো নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন যদি ডাকে অবশ্যই আমরা নির্বাচন কমিশনের ডাকে সাড়া দেবো।'

বিএনপি নির্বাচনে আসার ক্ষেত্রে যদি খালেদা জিয়ার মুক্তি শর্ত দেয়, সে ক্ষেত্রে আপনাদের অবস্থান কী হবে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'খালেদা জিয়াকে তো চাইলেই সরকার মুক্তি দিতে পারবে না। কারণ ওনি আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এটা তো আদালতের এখতিয়ার, সরকার চাইলেই তো মুক্তি দিতে পারবে না।'

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

1h ago