তথ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ‘অপপ্রচার’

ইউটিউব চ্যানেলের ৭ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা

হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ফাইল ফটো

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে 'ভুয়া, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর' তথ্য প্রচারের অভিযোগ এনে 'নাগরিক টিভি' নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল ও এর ফেসবুক পেজ পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ৭ জনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন তথ্য মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী এমরুল করিম। মামলায় আসামি হিসেবে অনলাইন নাগরিক টিভির ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পাতাটির নামও উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে সেই ভিডিও ক্লিপ সরানোরও আবেদন করা হয়েছে আদালতে।

চ্যানেলসহ মামলার অন্য আসামিরা হলেন চ্যানেলের এডিটর ইন চিফ নাজমুস সাকিব, এইচ এম কামাল, আজাদ সাহাদাত, সানি প্রধান, সাইফুল ইসলাম তালুকদার, খন্দকার ইসলাম ও মো. হারুন রশীদ। এছাড়া যারা ইউটিউব চ্যানেল ও এর ফেসবুক পেজে প্রচারিত ওই ভিডিওর লিংকে লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট করেছেন তাদেরকেও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

এর আগে রোববার রাতে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক নেতা নগরের চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। দুই মামলার এজাহার ও আসামি একই।

বাদীর আইনজীবী নিখিল কুমার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাইবার ট্রাইবুনালের বিচারক জহুরুল কবির মামলাটিকে আমলে নিয়ে নগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগের সাইবার ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বিটিআরসি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।'

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নাজমুস সাকিব তথ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে ১৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ ইউটিউব ও ফেসবুকে আপলোড করে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্য ছড়িয়ে মানহানি করেছেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, ওই ভিডিও ক্লিপের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হাছান মাহমুদ তাকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন।

মামলায় বলা হয়েছে বেসরকারি টিভি চ্যানেল নাগরিক টিভির সঙ্গে অনলাইন নাগরিক টিভির কোনো সম্পর্ক নেই। একইসঙ্গে তিনি কয়েকজনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অন্য যারা লিংকটি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন, লাইক কিংবা কমেন্ট করেছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান।

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

3h ago