খোকন সেরনিয়াবাতকে বুকে টেনে নিলেন আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বিশেষ বর্ধিত সভায় বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ শনিবার বিকেলে গৌরনদী পৌরসভায় অনুষ্ঠিত এ সভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত যোগ দেন।
খোকন সেরনিয়াবাত সভাস্থলে এসে পৌঁছালে অনুষ্ঠানের সভাপতি ও তার বড়ো ভাই আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ তাকে বুকে টেনে ঐক্যের বার্তা দেন।
এ সময় খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, 'নিজেদের মধ্যে বিভেদ ভুলে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নতুন বরিশাল গড়তে হবে। এই নির্বাচন এজন্য গুরুত্বপূর্ণ যে এর প্রভাব আশেপাশের সব জেলায় পড়বে। আমরা এজন্য সবার সহযোগিতা চাই।'
সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, 'আমাদের বরিশালের জন্য পদ্মা সেতুসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বরিশালের প্রতিটি জেলা এখন ঘরের দুয়ার ধারে। বরিশালে র সম্মিলিতভাবে খোকন সেরনিয়াবাতকে ভোট দেওয়ার জন্য কাজ করতে হবে।'
আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান বলেন, 'হাসানাত ভাই যখন আয় খোকন আয় বলে খোকন ভাইকে বুকে টেনে নেন, তখন আমার বুকটা জুড়িয়ে যায়। এর ফলে আমাদের নির্বাচনের চেহারা আজকে থেকে বদলে গেল।'
তিনি বলেন, 'আমার দল সুন্দর। আবার আমার দল পাজির দল। বিবাদ না থাকলেও বাজার থেকে বিবাদ ক্রয় করে নিয়ে আসে। খোকন ভাইকে শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিয়েছেন বিজয় লাভের জন্য। তিনি যখন বিজয় নিয়ে শেখ হাসিনার কাছে যাবেন তখন তার বুকটা ভরে উঠবে। আমার বিশ্বাস আমরা সবাই মিলে যদি নামি এখানে পরাজয়ের কোনো কারণ নেই।'
এ সময় দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, 'আমাদের মধ্যে গাদ্দার যদি কেউ থাকে সেটি যদি আমিও হই তাহলে জুতাপেটা করবেন। আমরা আবার প্রমাণ করে দিয়েছি দলের প্রয়োজনে, নেত্রীর মুখ রক্ষায় সবাই মিলে নৌকাকে বিজয়ী করব।'
'গাজীপুর থেকে শিক্ষা নিয়েছি বেইমানদের সঙ্গে কোনো আপস করব না,' বলেন তিনি।
বর্ধিত সভার সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বলেন, 'আমাদের সবাইকে একসঙ্গে ঘরে ঘরে যেতে হবে নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য।'
বক্তব্যে তিনি ছোটভাই খোকন সেরনিয়াবাতকে ভোট দেওয়ার জন্য বরিশালবাসীর কাছে আহ্বান জানান।
এর আগে, গত ২৬ মে প্রথম বর্ধিত সভায় খোকন সেরনিয়াবাত যোগ না দেওয়ায় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অনৈক্য চোখে পড়ে এবং এ নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়।
Comments