বিএনপি নেতাদের সাজা দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না: মির্জা ফখরুল

দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে দেওয়া বিচারিক আদালতের সাজা উচ্চ আদালতের বহাল রাখার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আজ মঙ্গলবার বিএনপি মহাসচিব এই হুঁশিয়ারি দেন।
বিএনপি নেতাদের সাজা দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না: মির্জা ফখরুল
জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি নেতাদের সাজা দিয়ে চলমান আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে দেওয়া বিচারিক আদালতের সাজা উচ্চ আদালতের বহাল রাখার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আজ মঙ্গলবার বিএনপি মহাসচিব এই হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি বলেন, 'এই মামলাগুলোর রায় দেওয়া থেকে বোঝা যায় যে, এই সরকার সম্পূর্ণ রাষ্ট্রযন্ত্রকে দখল করে নিয়েছে। ফরমায়েশি রায় দিয়ে যারা গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চাইছে। এটা আজকের ব্যাপার নয়, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তারা একই কাজ করছে।'

বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আজকে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে, আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা ক্ষোভ প্রকাশ করছি। আমরা মনে করি যে, এটা একটা ফরমায়েশি রায়। এই ধরনের রায় দিয়ে কোনো দিন গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না।'

আজ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং আমান উল্লাহ আমান দম্পতির আপিল খারিজ করে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছরের কারাদণ্ড এবং আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের যথাক্রমে ১৩ বছর ও ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখার আদেশ দেন।

আজ সকাল সাড়ে ১১টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'সরকার দেশের জনগণকে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে দূরে রাখা, রাজনীতি থেকে দূরে রাখা এবং সত্যিকার অর্থে এখানে যেন সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন না হতে পারে, তারা যেন একদলীয় নির্বাচন আবার করতে পারে সেই লক্ষ্যে সরকার এসব কাজ করছে। কিন্তু এবার জনগণ এটা করতে দেবে না।'

মির্জা ফখরুল বলেন, 'এই সব ঘটনা থেকে পরিষ্কার হয়ে গেল এই সরকারের কোনো রকমের শুভ বুদ্ধির উদয় হবার সম্ভাবনা নাই। একমাত্র জনগণের উত্তাল আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করেই আইনের শাসন, গণতন্ত্রের শাসন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনকে ফেরত আনতে হবে তাদের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে।'

তিনি বলেন, 'আমরা আজকে নতুন করে শপথ নিয়েছি যেকোনো মূল্যে আমরা বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব।'

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালামসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

Comments