‘গণতন্ত্র মঞ্চে’ আর থাকছে না গণ অধিকার পরিষদ

সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলতে গঠিত ৭ দলের জোট 'গণতন্ত্র মঞ্চ'র সঙ্গে আর থাকছে না গণ অধিকার পরিষদ।

আজ শনিবার গণ অধিকার পরিষদের দপ্তর সমন্বয়ক ও যুগ্ম-আহবায়ক শাকিল উজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'গণতন্ত্র মঞ্চের ব্যানারে গণ অধিকার পরিষদ আর কোনো কর্মসূচি পালন করবে না।'

তবে, সরকার বিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে থাকছে গণ অধিকার পরিষদ। অন্যান্য দলের সঙ্গে সমন্বয় করে কোনো জোটের বাইরে থেকে এককভাবে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করবে তারা।

আজ গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের মাসিক সভায় আরও কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। সভায় সভাপতিত্ব করেন গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক (নুর)।

শাকিল উজ্জামান জানান, তাদের সভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব পাশ করা হয় এবং আগামী ১৫ মে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া, সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বৃদ্ধিসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ১২ মে বিকাল সাড়ে ৩টায় গণ অধিকার পরিষদ তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে।

গণ অধিকার পরিষদের সভায় ভোটারবিহীন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের নামে রাষ্ট্রের অর্থ খরচ করে প্রহসনের নির্বাচন জনগণকে বর্জনের আহ্বান জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

শাকিল উজ্জামান বলেন, তাদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বেগবান করতে শুধু 'গণতন্ত্র মঞ্চ'র সঙ্গে জোটবদ্ধ কর্মসূচিতে সীমাবদ্ধ থাকবে না গণ অধিকার পরিষদ। নিজস্ব উদ্যোগে চলমান যুগপৎ আন্দোলনে সব দলের সঙ্গে রাজপথে সমন্বিত কর্মসূচি পালন করবে তারা।

তিনি বলেন, 'গণঅধিকার পরিষদ এককভাবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এ ছাড়া, সরকারবিরোধী আন্দোলনেও আমরা এককভাবেই অংশগ্রহণ করবো। পাশাপাশি যুগপৎ আন্দোলনেও নিজেদের মতো করে সক্রিয় থাকব।'

গণ অধিকার পরিষদ বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় এখন গণতন্ত্র মঞ্চে থাকছে বাকি ৬টি দল—জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।

Comments

The Daily Star  | English
Banking sector crisis

Why is the banking sector crisis so deep-rooted?

The regime-sponsored immorality to protect or pamper the financial gangsters not only eroded the future of the banking sector, but also made the wound too difficult to recover from.

4h ago