সরকার পদত্যাগ করলে সংলাপ করবে কে: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে বলেছেন, সরকার যদি পদত্যাগ করে তাহলে সংলাপ করবে কে?

আজ শনিবার রমজান উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালামে সিদ্ধান্ত হাইস্কুল মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতার সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারের পদত্যাগ করে বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'সরকার যদি পদত্যাগ করে তাহলে সংলাপ করবে কে? এ প্রশ্নের উত্তর মির্জা ফখরুল সাহেবের কাছে জানতে চাই। এ উদ্ভট, আবোল-তাবোল বলছে বিএনপি। আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপির মরা গাঙ্গে আর জোয়ার আসে না। ভাটার টান এসে গেছে।'

নির্বাচনে কেউ না এলে জোর করে আনা যাবে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি জানে নির্বাচন হলে তারা হেরে যাবে। তাই তারা নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চায়।

নির্বাচন কমিশন এখন নিরপেক্ষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। তবে কেউ নির্বাচন বানচাল করতে চাইলে তাদের কঠোর হস্তে প্রতিহত করা হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, রমজানের দিনে ৩৬৫টি কর্মসূচি দিয়ে বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ ও অবরোধ করে মানুষকে কষ্ট দেওয়া বিএনপির রাজনীতি গণবিরোধী।

তিনি বলেন, যারা এ দেশে আগুন সন্ত্রাস করে চিহ্নিত সন্ত্রাসী হিসেবে সবার কাছে পরিচিত সেই বিএনপি এখন আগুনের কথা বলে তখন আমাদের কাছে মনে হয় ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাইনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল আজ ঘন ঘন আগুনের কথা বলেন। এই আগুন ও সন্ত্রাস- দুটোই তারা সৃষ্টি করেছেন। আমাদের সন্দেহ, দেশে এখন আগুন নিয়ে যে নাশকতা হচ্ছে, সে নাশকতার সঙ্গে বিএনপি যুক্ত। আগুন নিয়ে যারা নাশকতা করছে তাদের অতীতের ইতিহাস আগুন-সন্ত্রাস। এই ইতিহাস এদেশের মানুষ ভুলে যায়নি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির পদযাত্রা নীরব যাত্রা। মানুষ বলে মরণ যাত্রা। এখন বিএনপির আন্দোলন মাটিতে নেমে গেছে, তার নাম অবস্থান কর্মসূচি। এ আন্দোলন পাবলিক খায় না, এ আন্দোলনে জনগণ নেই।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৫২ দল শুনেছি, এখন পাঁচ হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও বিএনপির শরিকদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। কোথায় ২৭ দফা? টেমস নদীর পাড় থেকে অনলাইনে আন্দোলনের ডাক দেন তারেক রহমান। তাদের ডাকে মানুষ সাড়া দেয় না। আন্দোলনের নামে বিএনপি আজ নৈরাজ্য করতে চায়, নাশকতা করতে চায়। রাষ্ট্র নাকি মেরামত করবে? এই রাষ্ট্র মেরামত করেছেন শেখ হাসিনা। রাষ্ট্র যারা ধ্বংস করে তারা মেরামত করতে পারে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি কূটনীতিকদের পাড়ায় পদচারণা করছে। জাতিসংঘের কাছে নালিশ দেবে বলেছে। জাতিসংঘের কাছে যত নালিশ করেন, যত আবদার করেন, সালিশ করার এখতিয়ার জাতিসংঘের নেই। বিদেশ থেকে অনেক কূটনীতিক আসে। সরকারের সঙ্গে বৈঠক হয়। কিন্তু বিএনপির সঙ্গে তারা কোনো বৈঠক করে না।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।

পরে অসহায়-দরিদ্রদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

Comments

The Daily Star  | English
August 5 declared as July Mass Uprising Day

Govt declares August 5 as ‘July Mass Uprising Day’

It also declared August 8 as "New Bangladesh Day" and July 16 as "Shaheed Abu Sayed Day"

2h ago