দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে যে সিন্ডিকেট সেই সিন্ডিকেটেই ভূত: মান্না

নাগরিক ঐক্য, মাহমুদুর রহমান মান্না, রমজান,
শনিবার পল্টনের সমাবেশে কথা বলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ছবি: সংগৃহীত

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাদের কোনো কিছু করার ক্ষমতা নাই। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে যে সিন্ডিকেট সেই সিন্ডিকেটেই ভূত আছে। এই সরকার নিজেই একটা সিন্ডিকেট, ভোট ডাকাতির সিন্ডিকেট, লুটপাটের সিন্ডিকেট, জনগণের ওপর নির্যাতন করার সিন্ডিকেট।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় পল্টনে সরকার পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন, নিত্যপণ্য ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ এ কথা বলেন তিনি। গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে এই সমাবেশ আয়োজন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, 'আর তাদের সিন্ডিকেটের শাখা হচ্ছে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে অথবা সুবিধা মতো জনগণের পকেট কেটে নিজেদের পকেট ভারি করতে নিজেদের কিছু বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন মিলিয়ে সমগ্র জনগোষ্ঠীকে ধরে অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে যাওয়া। এজন্য আমরা খুব স্পষ্ট কণ্ঠে বলতে চাই, এর বিরুদ্ধে লড়াইটাই চূড়ান্ত।'

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, 'রোজার মধ্যে বড় আকারের আন্দোলন কর্মসূচি হয়তো আমরা দেব না। কিন্তু আন্দোলনের এই বাতাসটাকে ধীরে ধীরে আরও বাতাস দিতে থাকব, চাঙ্গা করতে থাকব, যেন রোজার পরে আমাদের পাওনা কড়ায়-গণ্ডায় আদায় করে নিতে পারি। সেই পরিকল্পনা আমরা করছি। আমরা সবার সমর্থন চাই। দেশে-বিদেশে যারা আছেন সবার সমর্থন চাই।'

গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন রমজান মাসে গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, 'আমরা গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে আগামী রমজান মাসে আন্দোলনকে সংগঠিত করতে, বেগবান করতে গণসংযোগ কর্মসূচি, প্রচার-প্রচারণার কর্মসূচি, বৈঠক-কর্মীসভা রাখব। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে আমরা গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেব।'

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, 'আমাদের তিস্তা থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২টা খাল কেটে তারা আবার সেখানে পানি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ ইতোমধ্যে বরাদ্দ করা হয়েছে। এতদিন পার হয়ে গেল, অথচ সরকার এ পর্যন্ত ভারতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটা সাধারণ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।'

'শুষ্ক মৌসুমে এমনি তিস্তায় পানি থাকে না। প্রধানমন্ত্রী ২ বার ভারত সফর করলেন তিস্তার পানি আনতে, পারেন নাই। উল্টো ফেনী নদীর পানি প্রত্যাহারে চুক্তি স্বাক্ষর করে এসেছেন। এখন শুনেছি ধরলা নদী থেকে ভারত আবার নতুন করে পানি প্রত্যাহার করবে। এরা (সরকার) বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আজ আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার পরিবর্তে ভারতকে তোয়াজ করছে পানির জন্যে। মাঝে মধ্যে দিল্লী-কলকাতাতে বেনারসি শাড়ি পাঠায়, আমের সময় আম পাঠায়, ইলিশ মাছের সময় ইলিশ মাছ পাঠায়। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, এসব করে যে কূটনীতি, তা নিয়ে বাংলাদেশ পানি আনতে পারেনি। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার না হলে আমরা আমাদের দেশ, আমাদের জনপদ, আমাদের পানি সম্পদসহ কোনো কিছুকে রক্ষা করতে পারব না।'

Comments

The Daily Star  | English
Banking sector crisis

Why is the banking sector crisis so deep-rooted?

The regime-sponsored immorality to protect or pamper the financial gangsters not only eroded the future of the banking sector, but also made the wound too difficult to recover from.

4h ago