অনিচ্ছা সত্ত্বেও পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলাম: সংসদে আব্দুস সাত্তার

আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের নবনির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বলেছেন, অনিচ্ছা সত্ত্বেও দলীয় সিদ্ধান্তে গত ডিসেম্বরে বিএনপির সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গত ডিসেম্বরে বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তে পদত্যাগের পর ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন আবদুস সাত্তার।

আজ সংসদে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা তাকে অভিনন্দন জানান।

বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আবদুস সাত্তার বলেন, 'তার নির্দেশেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে।'

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকেও ধন্যবাদ জানান তিনি। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও তিনি ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, 'পাঁচবার সংসদ সদস্য থাকাকালে এলাকার উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। এরপরও জনগণের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব হয়নি।'

তিনি আরও বলেন, 'অনিচ্ছা সত্ত্বেও দলীয় সিদ্ধান্তে আমাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। আমি যখন যে কোনো সিদ্ধান্ত নিই, সততার সঙ্গে নিই।'

'এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে পদত্যাগের পর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের অংশ নিয়েছি,' যোগ করেন তিনি।

এই সংসদ সদস্য বলেন, 'আল্লাহর রহমতে আমি এই সংসদে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। আমার এলাকার জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর ভরসা রেখে আমাকে আবারও বিজয়ী করেছে।'

'আমার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেবেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা হিসেবে আপনি চিরকাল মানুষের হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Exporters fear losses as India slaps new restrictions

Bangladesh’s exporters fear losses as India has barred the import of several products—including some jute items—through land ports, threatening crucial trade flows and millions of dollars in earnings.

3h ago