নারায়ণগঞ্জ

ইউনিয়ন আ. লীগের সম্মেলনে ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত অন্তত ৩০

শম্ভুপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে, সম্মেলন স্থগিত করা হয়। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগের কর্মী সম্মেলনে দুই নেতার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আজ বুধবার বিকেলে উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সম্মেলনে উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শম্ভুপুরায় নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে পরাজিত হন নাসির উদ্দিন। কর্মী সম্মেলনে ওই প্রসঙ্গ টেনে বিরূপ মন্তব্য করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক। 

তার বক্তব্যে নাসিরের কর্মী-সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হলে উভয়পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া। 

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বক্তব্য দেওয়ার সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি খোঁচা মেরে বক্তব্য দেন। এ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হলে চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়। পরে মারামারি আরও বড় রূপ নিলে সম্মেলন বন্ধ করে দেওয়া হয়।'

এ ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান শামসুল ইসলাম।

জানতে চাইলে শম্ভুপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি শুধু আমার বক্তব্যে গত নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর হারার প্রসঙ্গ তুলে ধরেছি। এ নিয়ে নাসিরউদ্দিনের লোকজন হামলা করে। হামলায় জান্নাত বেপারী, সোহেল, আরিফ, আরমান, শরীফ, আল আমিন, রাজিম, নাজমুল ও শামীমসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।'

এদিকে নাসির উদ্দিন বলেন, 'উসকানিমূলক বক্তব্য দেন আবু বকর সিদ্দিক। এতে কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। কথা কাটাকাটির সময় আবু বকরের লোকজন আমার কর্মীদের মারধর শুরু করে। এতে আনিছুর রহমান শামীম, নজরুল ইসলাম, বাবু মোল্লা, জাহাঙ্গীর, মিন্টু. সুজন, মোয়াজ্জেম, শহীদ ও বাবলুসহ ১০ জন আহত হয়।'

উভয়পক্ষই এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেবে বলে নেতারা জানান।

যোগাযোগ করা হলে সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারি হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পরে সেখানে আরও পুলিশ সদস্য পাঠানো হয়।'

এ ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

BNP not in favour of banning any political party: Fakhrul

'Who are we to ban a political party? The people will decide,' says the BNP leader

44m ago