বিএনপির গণমিছিল: আজও পথচারীদের ফোন চেক করল পুলিশ

শুক্রবার বিএনপির গণমিছিলের আগে কদম ফোয়ারা সংলগ্ন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশের ফুটপাতে পথচারীদের ফোন চেক করেছে পুলিশ। ছবি: স্টার

রাজধানীতে বিএনপির গণমিছিলের আগে অন্তত ২টি এলাকায় চেকপোস্টে পথচারীদের ফোন চেক করেছে পুলিশ। শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় প্রেসক্লাব, মৎস্য ভবনসহ কয়েকটি পুলিশ চেকপোস্টে পথচারীদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

বিকেল ৩টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু হয়।

এর আগে দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় পুলিশ কর্মকর্তারা পথচারীদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে।

সেসময় ঘটনাস্থলে অবস্থানরত দ্য ডেইলি স্টারের ফটোগ্রাফার জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পথচারীদের পরিচয়, গন্তব্য, ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং তারা মিছিলে যোগ দেবেন কি না এমন কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন।

জোরপূর্বক পথচারীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে পুলিশ সদস্যদের সেগুলো চেক করতেও দেখা গেছে বলে জানান তিনি।

মৎস্য ভবন এলাকায় দ্য ডেইলি স্টারের ফটোগ্রাফার একটি পুলিশ চেক পোস্টের পাশে একদল লোককে অপেক্ষা করতে দেখেন।

আমরা মোবাইল ফোন চেক করার কোনো নির্দেশনা দেইনি।

ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক

পরে জানা যায়, পুলিশ সদস্যরা একজন একজন করে তাদের সবার মোবাইল ফোন চেক করছেন এবং আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দাঁড় করিয়ে রেখেছেন। 

এসময় এক পুলিশ কর্মকর্তা একজন পথচারীকে তার মোবাইল ফোনে থাকা কয়েকটি নম্বরের ব্যাপারে জানতে চান, সর্বশেষ ডায়াল করা নম্বরে ফোন করেও চেক করেন।

মোবাইল চেকের বিষয়ে আপত্তি জানালে এক পথচারীকে চড় মারতেও দেখেছেন ডেইলি স্টারের ফটোগ্রাফার।

তবে মোবাইল ফোন তল্লাশির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'আমরা মোবাইল ফোন চেক করার কোনো নির্দেশনা দেইনি।'

তিনি আরও বলেন, 'বিএনপির মিছিল করার অনুমতি আছে, তাই তারা মিছিল করেছে।'

গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশের দিন ঢাকা মহানগরীর অধিকাংশ প্রবেশপথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাত্রী ও পথচারীদের ফোনে তল্লাশি চালায়।

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Exporters fear losses as India slaps new restrictions

Bangladesh’s exporters fear losses as India has barred the import of several products—including some jute items—through land ports, threatening crucial trade flows and millions of dollars in earnings.

3h ago