চাপাবাজি করে বলছে, বিএনপি আমলে নাকি রাষ্ট্র ধ্বংস হয়েছে: খন্দকার মোশাররফ

খন্দকার মোশাররফ হোসেন। স্টার ফাইল ছবি

রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপির ২৭ দফা রূপরেখার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, চাপাবাজি করে বলছে, বিএনপির আমলে নাকি রাষ্ট্র ধ্বংস হয়েছে। উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা জনগণ বিশ্বাস করবে না।

গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটির সভায় ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, এই রাষ্ট্রকে যারা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল, তারা রাষ্ট্র মেরামত করবে? মেরামত তো শেখ হাসিনা করেছেন। করেছেন বলেই আজকে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল। মেরামত তো শেখ হাসিনা করেছেন। ধ্বংস করেছেন আপনারা।'

ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আজ মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের নেতাদের মুক্তি দাবিতে মহিলা দলের মানববন্ধনে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের দুর্নাম বয়ে এনেছে। দেশের বিচারব্যবস্থা, গণতন্ত্র সামাজিক অবকাঠামো সব ধ্বংস করে দিয়েছে।

ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ পণ্ড করতে সরকার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ দিয়ে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার, হামলা-মামলা করেছে বলে অভিযোগ করে মোশাররফ বলেন, এত কিছু করেও বিএনপিকে দমাতে পারেনি। বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো। বিএনপি আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে, সমর্থন আরও বেড়েছে। নানা বাধার পরও বিএনপি সব বিভাগীয় সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করেছে।

সভাপতির বক্তব্যে মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেন, যুগে যুগে নারীরা নির্যাতিত হচ্ছেন। ভাই, স্বামী, সন্তানদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, মেরে ফেলা হচ্ছে। তিনি গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপি নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।

মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানসহ অন্যান্যরা।

Comments

The Daily Star  | English
Int’l firms to be hired to recover laundered money

Foreign firms to be hired to recover laundered money

A meeting between BFIU and managing directors of the banks made the decision

12h ago