পাংশায় যুবলীগ কর্মীর মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসাবে বিএনপির ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মিছিলে বোমা হামলার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির তিন নেতা ও এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে পাংশা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের সবাইকে মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবদুল মতিন বিশ্বাস (৪৭), মাছপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক এনামুল হক (৩১), পাট্টা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান (৩০) এবং বিএনপির কর্মী আকরাম হোসেন সুমন (৪১)।
পাংশা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৩ ডিসেম্বর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মিছিলে বোমা হামলার অভিযোগে একটি মামলা করেন পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের যুবলীগের কর্মী আকমল হোসেন (৪০)। এই মামলায় পাংশা উপজেলা বিএনপির সভাপতি চাঁদ আলী খান (৫৫) সহ মোট ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২০জনকে আসামি করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, সমসাময়িক ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়ে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পাংশা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নারায়ণপুর দ্বীপ এগ্রোফুডের সামনে পৌছালে মাগুরাডাঙ্গী কলেজের দিক থেকে আসামিরা লাঠিসোটা নিয়ে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা করে। হামলাকারীরা দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এতে মামলার বাদী আকমল হোসেন ও কর্মী রাজিব (২৬) আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ককটেলের অংশবিশেষ উদ্ধার করে।
রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী বলেন, পাংশাতে যে মামলাটি করা হয়েছে তা শুধুমাত্র আমাদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করার জন্য করা হয়েছে। রাজবাড়ীতে বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন বা সহযোগী সংগঠনের কোনো নেতাকর্মী কখনোই উশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল না। ভবিষ্যতেও জড়িত থাকবে না।
পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, মিছিলে বোমা হামলার অভিযোগে থানায় দায়ের করা মামলায় সন্দেহভাজন হিসাবে চার জনকে বুধবার রাতে পাংশা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
Comments