সমাবেশ বিএনপির, বিপদে ঢাকার হোটেল মালিকরা

প্রতীকী ছবি | এএফপি

রাজধানীতে গত ১ ডিসেম্বর থেকে পুলিশি অভিযান শুরু হয়। এরপর থেকে হোটেল মালিকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। কারণ কেউ সেগুলো ভাড়া নিচ্ছেন না।

কিছু আবাসিক হোটেলে অতিথির সংখ্যা এতই কম যে মালিকরা সাময়িকভাবে হোটেল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন।

হোটেল ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তারা জানান, ইউনিফর্ম পরে ও সাদা পোশাকে পুলিশ প্রায়ই হোটেলগুলোতে যান এবং নির্দিষ্ট কিছু মানুষকে রুম ভাড়া না দেওয়ার কথা বলেন।

সেই কারণেই অতিথিরা হোটেলে আসছেন না বলে জানান তেজতুরি বাজার, গ্রীন রোড ও বনানী এলাকার বেশ কিছু হোটেলের কর্মকর্তারা।

মেস মালিক ও বাসিন্দারাও জানান, পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে, এমনকি এখানে যারা থাকছেন, তাদের ফোনও চেক করছে। পুলিশি অভিযানের ভয়ে এসব জায়গায় বসবাসরত অনেক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা চলে গেছেন।

পুলিশের সদর দপ্তর থেকে সারা দেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটকে গত ২৯ নভেম্বর একটি বিশেষ অভিযান শুরু করতে বলা হয়, যাতে ১৬ ডিসেম্বর সামনে রেখে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো যায়।

বিএনপির অভিযোগ, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করাই এই অভিযানের উদ্দেশ্য।

গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ রাজধানী থেকে ২৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ডিএমপির আওতাধীন এলাকাগুলো থেকে মোট ১ হাজার ২৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ৩ হাজার ৮৯৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২ দিনের তথ্য পাওয়া যায়নি।

বাড়ি ছাড়ছেন বিএনপি কর্মীরা

মিরপুর, তেজগাঁও, শেরেবাংলা নগর, কাফরুল, ভাষানটেক, পল্লবী, শাহ আলি থানার আওতাধীন বিভিন্ন এলাকার বিএনপির কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা ডেইলি স্টারকে জানান, ১ ডিসেম্বর থেকে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় যেয়ে তাদের খোঁজখবর জানতে চাইছে।

সেই কারণে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার এড়াতে বাড়ি ছাড়তে  বাধ্য হচ্ছেন বলে তারা জানান।

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে মূল প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন Police crackdown in city: Hoteliers count losses as guests stay clear

অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান

Comments

The Daily Star  | English

Poll irregularities: Sedition among 3 new charges added against three ex-CECs

BNP filed a case against 24 individuals, including three former chief election commissioners, 10 election commissioners, and top government and police officials, for their alleged role in irregularities during national polls in 2014, 2018, and 2024

22m ago