ময়মনসিংহ আ. লীগের সম্মেলন: ফেস্টুন-পোস্টারে ছেয়ে গেছে নগরী

৬ বছর পর আগামী ৩ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের সার্কিট হাউজ মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে ঘিরে ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে সম্মেলনস্থলসহ আশপাশের বিভিন্ন সড়ক তোরণ, ফেস্টুন ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে।
ইতোমধ্যে সম্মেলনস্থলসহ আশপাশের বিভিন্ন সড়ক তোরণ, ফেস্টুন ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে। ছবি: আমিনুল ইসলাম

৬ বছর পর আগামী ৩ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের সার্কিট হাউজ মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে ঘিরে ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে সম্মেলনস্থলসহ আশপাশের বিভিন্ন সড়ক তোরণ, ফেস্টুন ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে।

সম্মেলন সফল করতে জেলা ও মহানগর নেতা-কর্মীরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। সম্মেলনে তারা বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীর সমাগম ঘটাতে চায়। প্রস্তুতি সভা ও প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

নগরীর প্রতিটি সড়ক সেজে উঠেছে তোরণ ও ফেস্টুনে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নিজেদের পছন্দের নেতাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে 'দেখতে চেয়ে' নগরজুড়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়ছে তাদের প্রচারণা।

ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল হক বলেন, 'সম্মেলনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। নতুন কমিটি কী প্রক্রিয়ায় হবে সেটি নির্ধারণ করবে কেন্দ্রীয় কমিটি। সম্মেলনের মাধ্যমে একটি ভালো কমিটি হবে বলে আমি আশা করছি।'

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, 'সম্মেলনের চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে নেতা-কর্মীরা রাত-দিন কাজ করছেন। দল আমাকে যেখানে রাখবেন, আমি সেখানেই কাজ করব।'

সম্মেলন সফল করতে জেলা ও মহানগর নেতা-কর্মীরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। ছবি: আমিনুল ইসলাম

মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, 'সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রান্তিক পর্যায়ে দলের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মতো নেতৃত্ব চাই।'

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, 'আমার বাবা সাবেক ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমানের পথ অনুসরণ করে আমিও দলের জন্য নিঃশর্তভাবে কাজ করতে চাই।'

জানা গেছে, সার্কিট হাউজ মাঠের এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন বেগম মতিয়া চৌধুরী। প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়াও থাকবেন আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম।

প্রস্তুতি সভা ও প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। নগরীর প্রতিটি সড়ক সেজে উঠেছে তোরণ ও ফেস্টুনে। ছবি: আমিনুল ইসলাম

সূত্র জানায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী বেশ কয়েকজন নেতা আলোচনায় আছেন। সভাপতি পদপ্রত্যাশীরা হলেন- বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, সহ-সভাপতি সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদ, জেলা পরিষদ প্রশাসক ইউসুফ খান পাঠান, ফারুক আহমেদ খান ও জালাল উদ্দিন খান। সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীরা হলেন- মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত, জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস, শওকত জাহান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ আলী আকন প্রমুখ।

মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে চেয়ে বেশ কয়েকজন নেতা শহরের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার টানিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সভাপতি প্রার্থীরা হলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু, বর্তমান সভাপতি এহতেশামুল আলম ও সাদেক খান মিল্কী টজু প্রমুখ। সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় আছেন বর্তমান কমিটির সহসভাপতি অধ্যাপক গোলাম ফেরদৌস জিলু, যুগ্ম সম্পাদক হোসাইন জাহাঙ্গীর বাবু ও সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল হক, রেজাউল হাসান বাবু, মোহাতার হোসেন লিটু প্রমুখ।

এর আগে ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর সম্মেলন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতির দায়িত্ব পান জহিরুল হক খোকা ও সাধারণ সম্পাদক হন মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। মহানগরে এহতেশামুল আলমকে সভাপতি এবং মোহিত উর রহমান শান্তকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়।

Comments