নবীনগর আ. লীগের সম্মেলনে চেয়ার ছোড়াছুড়ি, আহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন উদ্বোধনের পরপরই কর্মীদের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন।
তাৎক্ষণিক তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়।
এরপর শত শত নেতাকর্মী ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে নিরবিচ্ছিন্নভাবে সম্মেলনের কার্যক্রম চলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। অতিথিরা মঞ্চে আসন গ্রহণ করার পরপরই উপস্থিত নেতাকর্মীদের একাংশের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। এসময় শান্ত থাকার জন্য বার বার মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মূলত স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের স্থানীয় ২ নেতার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এই আসনের (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫) সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল এবং বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুলের নাম ধরে শ্লোগান দিতে শুরু করেন তাদের কর্মী-সমর্থকরা। এসময় সম্মেলন স্থলের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান নেওয়া উভয়পক্ষের লোকেরা উত্তেজিত হয়ে চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু করেন। এতে সম্মেলনে আগতরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মঞ্চে উপবিষ্ট জ্যেষ্ঠ নেতারা মাইকে ঘোষণা দিয়ে কর্মীদের নিবৃত হওয়ার অনুরোধ করেন। এরপরও টানা কয়েক মিনিট ধরে চেয়ার ছোড়াছুড়ি চলে।'
পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা সুজিত রায় নন্দী, সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার।
Comments