৭ বছর পর আ. লীগের সম্মেলন, ঝিনাইদহে উৎসবের আমেজ

দলীয় নেতা-কর্মীদের পদভারে মুখরিত সম্মেলনস্থল। ছবি: স্টার

৭ বছর পর ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে উৎসবের আবহ বিরাজ করছে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের মাঝে।

সম্মেলন উপলক্ষে আজ রোববার শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ড মাঠে বড় সমাবেশের আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

চলতি বছরের জেলায় ২টি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহ সদর পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী বড় ব্যবধানে পরাজিত করেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল খালেককে। একই ধারাবাহিকতায় ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম হারুন অর রশিদ তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী কনক কান্তি দাসকে পরাজিত করের।

পর পর ২টি নির্বাচনে এমন পরাজয়ের দরুন দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় সম্মেলন ঘিরে নেতা-কর্মীরা নতুন করে উজ্জীবিত হচ্ছেন।

সম্মেলন ঘিরে ব্যানার-ফেস্টুনে ঝিনাইদহ শহর ছেয়ে গেছে। ইতোমধ্যে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিত হয়েছেন সম্মেলনস্থলে।

সর্বশেষ ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হন সংসদ সদস্য আব্দুল হাই ও সাইদুল করিম মিন্টু। চলতি বছরের ১৭ মে পরের সম্মেলন হওয়ার দিন ধার্য থাকলেও তা স্থগিত করা হয়। পরে ১৩ নভেম্বর সম্মেলনের নতুন দিন ধার্য হলে হতাশার মধ্যেও কিছুটা উৎসবমুখরতা ফিরে আসে নেতা-কর্মীদের মাছে।

সম্মেলন নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারন সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি চেষ্টা করেছি আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মীদের একই ধারায় এনে দলকে সংগঠিত করতে। অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন জেলা আওয়ামী লীগ অনেক ভালো অবস্থানে আছে। আশা করি এবারের সম্মেলনে দল বিগত দিনের সফলতা দেখে দল আমার ওপর আস্থা রাখবে।'

একই রকম আশাবাদ ব্যক্ত করে বর্তমান সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, 'নেতৃত্বের ক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমি চেষ্টা করেছিল সকল বিভেদ ভুলে দলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে এবং সেটা আমি পেরেছি। আবারও যদি নেতৃত্বে আসি তবে আগের মতোই দলকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো। আর যদি না আসি, তবে নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করে যাবো।'

Comments

The Daily Star  | English

What if the US election ends in a Trump-Harris tie?

While not highly likely, such an outcome remains possible, tormenting Americans already perched painfully on the edge of their seats ahead of the November 5 election

3h ago