২৬ বছর পর রংপুর জেলা যুবলীগের সম্মেলন ঘিরে উৎসবের আবহ

ছবি: স্টার

দীর্ঘ ২ যুগেরও বেশি সময় পর রংপুর জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ঘিরে নেতা-কর্মীদের মাঝে উৎসবের আবহ বিরাজ করছে।

আজ শনিবার দুপুর ২টায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে এই সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা। নতুন কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ পেতে সক্রিয় আছেন ৪০ জনের বেশি নেতা।

সম্মেলন ঘিরে আজ শনিবার সকাল থেকেই জিলা স্কুল মাঠে আসতে শুরু করেছেন রংপুরের ৮ উপজেলার যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন শুরুর আগে মঞ্চে সকাল থেকেই বক্তব্য দিতে শুরু করেছেন তারা।

ছবি: স্টার

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সম্মেলনের প্রস্ততি নিয়ে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক। তিনি বলেন, 'আমরা সব আয়োজন শেষ করেছি। আশা করছি একটি সুন্দর সম্মেলন উপহার দিতে পারব। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে একটি নতুন নেতৃত্ব আসবে।' 

যুবলীগের সাধারণ নেতা-কর্মীরা মনে করছেন, দুর্দিনে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যারা সংগঠনের হাল ধরেছেন, জেল-জুলুম সহ্য করে সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়ে নিয়ে গেছেন, যাদের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি আছে- তাদেরই নতুন নেতৃত্বে আসা উচিত।

আজকের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। সম্মেলনের প্রধান বক্তা যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। অতিথি হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন ও শাজাহান খান, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি।

ছবি: স্টার

জেলা যুবলীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সভাপতি-সম্পাদক পদে বর্তমান জেলা যুবলীগের নেতারা ছাড়াও ছাত্রলীগের সাবেক কয়েক জন নেতার নাম আলোচনায় আছে। তারা এবারের কমিটিতে চমকের প্রত্যাশায় আছেন। আর কেন্দ্র থেকে তাদের জানানো হয়েছে, বিতর্কিত কাউকে এবার পদ দেওয়া হবে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্মেলন ঘিরে সভাপতি ও সম্পাদক পদে ৪০ জনের বেশি নেতা প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

এদের মধ্যে সভপতি পদের জন্য রংপুর কলেজের সাবেক জিএস ওয়াসিমুল বারী শিমু, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক লক্ষণ চন্দ্র রায়, যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মায়া, জেলা যুবলীগের সদস্য মাসুদ রানা বিপ্লব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল হাসান লিউ, যুবলীগ নেতা সজিব মমতাজ ও রাহেল চৌধুরী পিন্টু এবং যুবলীগের জেলা কমিটির সাবেক প্রচার সম্পাদক হাসানুল কবীর তুহিনের নাম আলোচনায় আছে।

এছাড়া সাধারণ সম্পাদকের পদ পেতে তৎপর নেতাদের মধ্যে আছেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান শাহিন, মহানগর ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান কানন, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফে আরা রনি, যুবলীগ নেতা ডিজেল আহমেদ এবং নগর ছাত্রলীগের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক মাহফুজার রহমান বুলেট।

Comments

The Daily Star  | English

Consensus talks: Poor progress may delay July Charter

Political parties have failed to reach an agreement on any reform proposals for the fifth consecutive day of the consensus talks.

10h ago