৪১ ট্রলারে বরগুনা থেকে বরিশালে বিএনপি নেতা-কর্মীরা
ধর্মঘটে বাস বন্ধ থাকায় নৌপথে ৪১টি ট্রলারে চড়ে বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মী বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য বরিশাল পৌঁছেছেন।
বরগুনা জেলা বিএনপির নেতারা জানান, সমাবেশে যোগ দিতে প্রথমে ট্রলার নিয়ে বরগুনা সদরসহ আমতলী, তালতলী, পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী উপজেলার নেতা-কর্মীরা পায়রা নদীতে মিলিত হন। সেখান থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বরিশালের পথে রওনা হন তারা। রাতের খাবারের জন্য প্রতি ট্রলারেই খিচুড়ি রান্নার আয়োজন করা হয়।
আজ শুক্রবার বরগুনা জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদ মোল্লা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বরগুনার পায়রা নদী থেকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদী হয়ে যাত্রাশুরুর ১২ ঘণ্টা পর আজ সকাল ১০টায় আমরা বরিশাল পৌঁছাই।'
বিভিন্ন দাবিতে সারাদেশে বিভাগীয় গণসমাবেশের ধারাবাহিকতায় আগামীকাল শনিবার বরিশালে বিএনপির সমাবেশের আগে গতকাল বৃহস্পতিবার পূর্বঘোষণা ছাড়াই বরিশাল-ভোলা রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর বাসমালিক-শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধসহ ৫ দফা দাবিতে ৪ ও ৫ নভেম্বর সব ধরনের তিন চাকার যানের ধর্মঘট ডাকে বরিশাল জেলা মিশুক, বেবিট্যাক্সি, টেক্সিকার ও সিএনজি চালক শ্রমিক ইউনিয়ন।
তারও আগে মহাসড়কে ৩ চাকার অবৈধ যান ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল বন্ধের দাবিতে ৪-৫ নভেম্বর অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় বরিশাল বিভাগীয় বাস-মালিক শ্রমিক ফেডারেশন।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের দাবি, বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচাল করতেই চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরের মতো সরকারি দলের ইন্ধনে এই অপকৌশল নেওয়া হয়েছে।
বরগুনা জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদ মোল্লা বলেন, 'সরকার ও সরকারি দলের দুরভিসন্ধি আমরা আগেই আঁচ করতে পেরেছিলাম। এ কারণে যুবদলের নেতা-কর্মীদের নৌপথে বরিশাল যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছিল।'
বরগুনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুজ্জামান টিটু বলেন, 'ধর্মঘট শুরুর আগেই সড়কপথে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক নিয়ে ইতোমধ্যে জেলা বিএনপির অনেক নেতাকর্মী বরিশালে পৌঁছেছেন। যারা বাকি ছিলেন তারা ট্রলারে করে বরিশাল পৌঁছেছেন।'
এই বিএনপি নেতার ভাষ্য, ৪১টি ট্রলারে ৮ হাজারের বেশি নেতা-কর্মী ছিলেন। প্রতি ট্রলারেই রান্নার ব্যবস্থা ছিল। গোটা পথ তারা আনন্দ-উচ্ছ্বাসের সঙ্গেই পাড়ি দিয়েছেন।
Comments